• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: জুন ১১, ২০১৯, ০৯:১৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১১, ২০১৯, ০৯:১৯ পিএম

রূপগঞ্জে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাকে কুপিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর

রূপগঞ্জে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাকে কুপিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর
রূপগঞ্জে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হককে কুপিয়ে আহত করার পর তার বাড়িঘর ভাঙচুর করে প্রতিপক্ষ ছবি : জাগরণ

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ১ শতাংশ জমির ওপর নির্মিত দোকানঘর জোরপূর্বক দখলে নিতে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা সশস্ত্র অবস্থায় এক যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটিয়েছে। এতে প্রতিবাদ করায় ওই মুক্তিযোদ্ধাকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে। মারধর করা হয়েছে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের আরও চার সদস্যকে। শুধু তাই নয়, সন্ত্রাসীরা দিনে-দুপুরে অস্ত্রের মহড়া দিয়ে বাড়িঘরে আগুন লাগিয়ে দিয়ে ভাড়াটিয়াদের বের করে দোকানঘরে তালা ঝুলিয়ে দেয় বলে অভিযোগ করে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারটি। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ জুন) দুপুরে উপজেলার ভোলাব ইউনিয়নের কুড়িয়াইল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হক জানান, তার বাড়ি কুড়িয়াইল এলাকায়। তিনি আতলাপুর বাজার এলাকার ১ শতাংশ জমির ওপর দোকানঘর নির্মাণ করে বাপ-দাদার আমল থেকে ভোগদখল করে আসছেন। বর্তমানে দোকানঘর ভাড়া দিয়ে দিয়েছেন তিনি। আর এই ভাড়ার টাকায় তার সংসার চলে।

এদিকে একই এলাকার মাওলা ও নাঈম ওই দোকানঘরের মালিক দাবি করে দীর্ঘ দিন ধরে তা জবরদখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছে। গত ৩১ মে দখলে ব্যর্থ হয়ে প্রতিপক্ষ যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হকের প্রথম স্ত্রী অজুফা বেগম ও দ্বিতীয় স্ত্রী মজিদা বেগমকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে। ওই ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে ছয়জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার আসামি শাহজালাল জামিনে বেরিয়ে আসার পরই মাওলা ও নাঈমের নেতৃত্বে মাসুদ, নিশুক, শামিম, মাসুম, শাহজালাল, সুমনসহ ৩০ থেকে ৪০ জনের একটি দল ধারালো ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সোমবার দুপুরে প্রকাশ্য দিবালোকে বাড়িতে প্রবেশ করে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হককে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। বাধা দিলে ফের প্রথম স্ত্রী অজুফা বেগম, দ্বিতীয় স্ত্রী মজিদা বেগম, মেয়ে মাকসুদা ও সম্পাকে পিটিয়ে আহত করে। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

পরে সন্ত্রাসীরা দোকানঘরের ভাড়াটিয়াদের হুমকি-ধমকি দিয়ে বের করে দোকানঘরে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এ ঘটনায় যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হকের ছেলে রাজু বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের সংবাদে মঙ্গলবার দুপুরে সন্ত্রাসীরা ফের সশস্ত্র অবস্থায় যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে প্রবেশ করে প্রকাশ্য দিবালোকে আগুন ধরিয়ে দেয়। এছাড়া একটি মোটরসাইকেলেও আগুন দেয় হামলাকারীরা। পরে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভায়।

খবর পেয়ে ভোলাব তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ শফিকুল ইসলামসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত নাঈম ও মাওলার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন।

ভোলাব তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

এনআই