• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ১২, ২০১৯, ১১:০৯ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১২, ২০১৯, ১১:১৬ এএম

ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে বিপাকে মা

৩টি জিডি করেও পাচ্ছেন না নিরাপত্তা

৩টি জিডি করেও পাচ্ছেন না নিরাপত্তা

হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার মুড়াকরি গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে ব্যবসায়ী আব্দুল হাকিম (২৬) হত্যা মামলার ৮ মাসেও কোনো অগ্রগতি হয়নি। উল্টো আসামিদের হুমকি-ধামকি ও হামলায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন নিহতের মা ও মামলার বাদী মোছা আছমা বেগম। 

বারবার বাদী পক্ষের উপর হামলা চালাচ্ছে আসামি পক্ষের লোকজন। এ ব্যাপারে লাখাই থানায় নিরাপত্তা ও হামলার প্রতিকার চেয়ে পৃথক ৩টি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন আছমা বেগম। কিন্তু এরপরও পুলিশ আসামিদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ার অভিযোগ তুলেছেন তিনি। 

মামলার বিবরণে জানা যায়, লাখাই উপজেলার মুড়াকরি গ্রামের মৃত লাল মিয়ার নামীয় জমি নিয়ে তার ছেলে মুশাহিদ মিয়ার সঙ্গে বিরোধ চলছিল একই গ্রামের আশ্বব আলীর পুত্র তৌহিদ মহুরির। বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে একাধিকবার বাগবিতণ্ডা হয়। পরে স্থানীয় মাতব্বরা বিষয়টি নিষ্পত্তির উদ্যোগ নিয়েও ব্যর্থ হন।

২০১৮ সালের ২২ অক্টোবর সকালে মুশাহিদ মিয়ার ভাতিজা আব্দুল হাকিমকে (অহিদ মিয়ার ছেলে) রাস্তায় একা পেয়ে তৌহিদ গংরা অতর্কিত হামলা চালায়। আব্দুল হাকিমের পেটে টেটাঁবিদ্ধ করে গুরুতর জখম করে। স্থনীয় লোকজনআশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কামরুল হাসান তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনার একদিন পর ২০১৮ সালের ২৪ অক্টোবর নিহতের মা মোছা. আছমা বেগম বাদী হয়ে ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে লাখাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

আছমা বেগমের অভিযোগ- মামলা দায়েরের পর আসামিরা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করেনি। এদিকে চলতি বছরের ১৯ মে মামলার আসামিরা হাইকোর্ট থেকে ৪ সপ্তাহের আগাম জামিন নেন। তাদের জামিনের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ১৯ জুন। বর্তমানে সকল আসামিই জামিনে রয়েছেন।

অপরদিকে, আসামিরা প্রথম থকেই বাদী পক্ষকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে। এমনকি একাধিকবার তার উপর হামলাও চালিয়েছে। এ ব্যাপারে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে এবং আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে লাখাই থানায় ৩টি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন আছমা বেগম। এরমধ্যে প্রথম জিডি করেন ২০১৮ সালের ১৫ ডিসেম্বর, ২য় জিডি করেন- চলতে বছরের ২ মার্চ এবং ৩য় জিডিটি করেন- চলতি বছরের ৫ জুন। 

তিনি জানান- পৃথক ৩টি জিডির মাধ্যমে নিজের জীবনের নিরাপত্তা চেয়েও পাচ্ছি না। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে কোন ধরণের কাজ করছে না। এমনকি থানায় গিয়ে অভিযোগ দিতে চাইলে উল্টো পুলিশ আমাদের গালিগালাজ করছে।
 
তবে বিষয়টি অস্বীকার করলেন লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমরান হোসেন। তিনি বলেন- বাদি পক্ষের লোকজন নিরাপত্তা চেয়ে ৩টি জিডি করেছে। পুলিশ জিডিগুলো তদন্ত করে দেখছে। সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


একেএস