• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ১২, ২০১৯, ০১:০৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১২, ২০১৯, ০১:০৭ পিএম

পুরনো কারাগারের পুকুরে নারীর লাশ

পুরনো কারাগারের পুকুরে নারীর লাশ


পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরাতন কারাগারের পুকুরে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই নারীর নাম আজমেরী বেগম (২৭)। বাসা পুরান ঢাকার আবুল হাসনাত রোডে। 

এদিকে এই নারীর মৃত্যু রহস্য উদঘাটনে চকবাজার থানা পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। তদন্তের অংশ হিসেবে আশপাশের লোকজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তারা। তবে মরদেহ উদ্ধারের ঘণ্টাখানেক আগে স্থানীয়রা নারীর কণ্ঠে ‘বাঁচাও বাঁচাও’ চিৎকার শুনেছেন বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সূত্র বলেছে, পুকুরটি কারাগারের মসজিদের পাশে ডিআইজি কোয়ার্টার্স সংলগ্ন সংরক্ষিত এলাকায় ছিল। তবে মসজিদ নামাজ আদায়ে সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল। যে কেউ ওই পুকুরে অজু করতে যেতে পারতেন। আশপাশে কয়েকটি ঘরও ছিল। সেখানকার বসবাসরতদের জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে, আশপাশের লোকজন আনুমানিক রাত ১০টা ২০ মিনিট থেকে ১০টা ২৫ মিনিটের মধ্যে পুকুর পাড়ের কাছ থেকে ‘বাঁচাও বাঁচাও’ বলে নারীর কণ্ঠ শুনতে পায়। এর কিছুক্ষণ পর কয়েকজন এসে মরদেহটি পুকুরে ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। রাত সাড়ে ১১টায় পুলিশ আসার পর সালোয়ার কামিজ পরা নারীর মরদেহ, এক জোড়া স্যান্ডেল, একটি মোবাইলসেট ও একটি ভ্যানেটি ব্যাগ উদ্ধার করে।

চকবাজার থানার এসআই জাহাঙ্গীর বলেন, অবিবাহিত এই নারী মানসিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন। গতকালও তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন তার বাবা। পরিবারের সদস্যরা পুলিশকে বলেছেন, জেলখানার ঢাল আবুল হাসনাত রোডের বাসা থেকে রাত ৮টার দিকে কোনো এক সময় বেরিয়ে যান আজমেরী। 

তিনি আরও বলেন, আশপাশে অন্ধকার ছিল। পুকুরের পাশাপাশি ঝোপঝাড় ছিল। ওই পুকুরে তার লাশ পাওয়া যায়। আমরা এখন পর্যন্ত কোনো ক্লু পাইনি। 

এসআই আরো বলেন, জেলখানার পুকুর হলেও দক্ষিণ পাশের অংশ দিয়ে মানুষ যাতায়াত করে। পুকুরের ওই দিকেই আজমেরীর লাশ পাওয়া গেছে। আজমেরী সাঁতার জানতেন না। মৃতদেহে জখমের কোনো চিহ্ন দেখা যায়নি। তবে পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। ময়নাতদন্ত হলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

এইচএম/আরআেই