অপহরণ করে নেওয়ার ৩২ ঘণ্টা পর অপহৃত রুবেল মিয়া (২০) নামের এক যুবককে উদ্ধার করেছে নেত্রকোনা ডিবি পুলিশ। সেই সাথে অপহরণের সঙ্গে জড়িত চক্রের দুজনকে আটকও করেছে পুলিশ। বুধবার (১২ জুন) ভোরে গাজীপুর-চান্দিনা চৌরাস্তা থেকে ওই উদ্ধার ও আটক অভিযানের পর বেলা ২টার দিকে নেত্রকোনা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য তুলে ধরেন ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার এস এম আশরাফুল আলম।
উদ্ধারকৃত রুবেল মিয়া নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার কৈলাটী ইউনিয়নের হাঁপানিয়া গ্রামের কৃষক মো. আব্দুল্লাহর ছেলে। আটককৃতরা হলো ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার ছয়আনী নামাপাড়া গ্রামের মৃত সফির উদ্দিনের ছেলে পাভেল মিয়া (২৫) ও পাগলা উপজেলার ডিক্রিভূমি গ্রামের মৃত বুলবুল শেখের ছেলে সুজন উদ্দিন অপু (২৫)।
প্রেস ব্রিফিংয়ে ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার জানান, রুবেল সিঙ্গাপুর যাওয়ার জন্য ঢাকার একটি ট্রেনিং সেন্টারে সিলিং বোর্ড তৈরির ত্রৈমাসিক প্রশিক্ষণ কোর্স করছেন। ঈদ-পরবর্তী সময় ছুটি শেষে গত রোববার (৯ জুন) বিকেলে বাড়ি থেকে তিনি বাসযোগে ঢাকায় ফিরছিলেন। পথে বাসের মধ্যে অপহরণকারী চক্রের দুই মেয়ের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। মেয়ে দুটি তাকে ভাইয়ের মতো দেখতে লাগছে এমনটি বলে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে তার সাথে সখ্য গড়ে তোলে। একপর্যায়ে রুবেলকে ভাই বানিয়ে তারা তাদের আস্তানা গাজীপুর চান্দিনা চৌরাস্তায় নিয়ে যায়। এরপর সেখানে রুবেলকে মারধর করে তার বাবার কাছে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে রুবেলের বাবা সোমবার সকালে বিষয়টি নেত্রকোনা পুলিশ সুপারকে জানিয়ে পুলিশের সহযোগিতা কামনা করেন।
এ পরিপ্রেক্ষিতে নেত্রকোনা ডিবি পুলিশের একটি টিম মুক্তিপণের টাকা দেওয়ার ভান করে অপহরণকারীদের সঙ্গে কথা বলে গত মঙ্গলবার চান্দিনা চৌরাস্তায় পৌঁছে। পরে মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে পুলিশ অপহরণকারী চক্রের ওই দুই সদস্যকে আটক করে। তারপর তাদের কথামতো স্থান থেকে রুবেলকে উদ্ধার করা হয়।
এদিকে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ওই চক্রের সাথে জড়িত দুই মেয়ে পালিয়ে যায়। প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি আরো জানান, চক্রটি অনেক বড় ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত। ওরা মানুষের টাকা কৌশলে বিকাশের মাধ্যমেও হাতিয়ে নেয়। তাদের মূল হোতাদের ধরতে চেষ্টা চলছে।
এনআই