• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ১৪, ২০১৯, ০৪:৩১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১৪, ২০১৯, ০৪:৩১ পিএম

হবিগঞ্জে ইজতেমা নিয়ে দুই পক্ষে উত্তেজনা

হবিগঞ্জে ইজতেমা নিয়ে দুই পক্ষে উত্তেজনা

হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পাইকপাড়া এলাকায় মাওলানা সাদপন্থীদের ইজতেমাকে কেন্দ্র করে তাবলিগ জামাতের দুই গ্রুপের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। পরে প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ইজতেমা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে ইজমেতাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, হবিগঞ্জে মাওলানা সাদপন্থীদের অনুসারীরা সদর উপজেলার পাইকপাড়ায় তাদের নিজস্ব মার্কাজে বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) থেকে শনিবার (১৫ জুন) পর্যন্ত ইজতেমার আয়োজন করেন। এ লক্ষ্যে তারা প্যান্ডেল নির্মাণ শুরু করলে মাওলানা সাদপন্থীদের বিরোধী তাবলিগ জামাতের অপর একটি গ্রুপ আন্দোলন শুরু করে। মঙ্গলবার (১১ জুন) তারা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করে। পরে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন ইজতেমা বন্ধের আশ্বাস দিলে তারা হবিগঞ্জ মার্কাজে অবস্থান নেন।

বৃহস্পতিবার পাইকপাড়ায় মাওলানা সাদপন্থীদের ইজতেমা আয়োজনের খবর জানতে পেয়ে হবিগঞ্জ মার্কাজে থাকা বিরোধী গ্রুপ সেখানে গিয়ে অবস্থানের প্রস্তুতি নিলে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। ফেসবুকে একটি পক্ষ অপপ্রচার চালায় মাওলানা সাদবিরোধী গ্রুপের হবিগঞ্জ বেফাক সভাপতি মাওলানা আব্দুল্লাহ আকিলপুরীসহ ৪ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এ সময় তাদের পক্ষের লোকজন মাঠে নামার প্রস্তুতি নিলে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা মাঠে নেমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তারা পাইকপাড়ায় গিয়ে আয়োজকদেরকে ইজতেমার প্যান্ডেল এবং মাইক খুলে নেওয়ার নির্দেশ দেন। খোলা মাঠে ইজতেমার কর্মসূচি পালন থেকে বিরত থেকে মসজিদের ভেতরে করার অনুমতি দেওয়া হয়। পাশাপাশি প্রশাসনের পক্ষ থেকে আন্দোলনরতদের ইজতেমা বন্ধের কথা জানালে তারা হবিগঞ্জ মার্কাজে ফিরে যান। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পাইকপাড়ায় মার্কাজের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

সেখানে অবস্থানরত রোকন উদ্দিন নামের সাদপন্থীদের এক নেতা জানান, হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজনকে নিয়ে তারা কর্মসূচি পালন করছেন। ভারতের নিজাম উদ্দিন মার্কাজ থেকে আসা মাওলানা ছানাউল্লাহ এবং ঢাকার কাকরাইল মসজিদ থেকে আসা মাওলানা মোহাম্মদ উল্ল্যা বয়ান করবেন।

আন্দোলনরতদের নেতা মাওলানা আব্দুল্লাহ আকিলপুরী জানান, তাদের কাউকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেনি। বিরোধী পক্ষ শুধু মসজিদে বৃহস্পতিবার নিয়মতান্ত্রিক শবগুজারির আমল করতে পারবেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুল হক জানান, তিনি উত্তেজনার খবর পেয়ে পাইকপাড়ায় গিয়ে প্যান্ডেল এবং মাইক উচ্ছেদ করতে চাইলে আয়োজকরা নিজেরাই তা সরিয়ে ফেলেন। ইজতেমা বন্ধ করে শুধু স্থানীয় লোকজনকে নিয়ে নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচি পালনের অনুমতি প্রদান করা হয়েছে।

সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সহিদুর রহমান জানান, পাইকপাড়ায় আয়োজকরা প্যান্ডেল খুলে ফেলেছেন। তারা বলেছেন, কোনো বহিরাগত লোক সেখানে আসবে না। নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচি তারা পালন করবেন। সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

এনআই