নাটোরের সিংড়ায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে হেদায়েত আলী নামের ১০ বছরের সৎভাইকে কুপিয়ে হত্যা করেছে তার বড় ভাই ইসাহাক আলী সুবল। শুক্রবার (১৪ জুন) সকালে উপজেলার পুঠিমারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত হেদায়েত আলী ওই এলাকার আব্দুল কাদের কান্দুর ছেলে ও পুঠিমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিল। ঘটনার পর থেকে পলাতক সুবল।
খবর পেয়ে সিংড়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জামিল আক্তার ও সিংড়া থানার ওসি মনিরুল ইসলামসহ অন্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
সিংড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুল ইসলাম ও নিহতের চাচাতো ভাই জমসেদ জানান, পুঠিমারী গ্রামের আব্দুল কাদের কান্দুর তার প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে বুলবুলি খাতুনকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর হেদায়েত আলীর জন্ম হয়। হেদায়েত আলীর জন্মের পর থেকে তার সৎভাই ইসাহাক আলী সুবলের সঙ্গে বাড়ির জমি নিয়ে বাবা আব্দুল কাদের কান্দুর বিরোধ চলে আসছিল। সুবল একপর্যায়ে জাল দলিল তৈরি করে বাড়ির ১৭ শতক ভিটেজমি তার নিজ নামে খাজনা খারিজ করে নেয়। বিষয়টি পরবর্তী সময়ে জানাজানি হলে সুবলের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করের তার বাবা আব্দুল কাদের কান্দু।
সম্প্রতি বাড়ির ১৭ শতক ও মাঠের ৩০ শতক জমি ছোট পক্ষের ছেলে হেদায়েত আলী ও বড় পক্ষের ছেলে ইউনুস আলীকে
সমানভাগে রেজিস্ট্রি করে দেওয়া হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয় সুবল।
শুক্রবার সকালে হেদায়তে আলী তার ঘরে একা ঘুমিয়ে ছিল। এ সময় তার বাবা-মা কেউই বাড়িতে ছিলেন না। সেই সুযোগে ইসাহাক আলী সুবল ঘুমন্ত অবস্থায় হেদায়েত আলীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। এ সময় হেদায়েত আলীর চিৎকারে পরিবারের লোকজন এগিয়ে এলে সুবল পালিয়ে যায়। পরে আহত অবস্থায় হেদায়েতকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যায়। বর্তমানে নিহত হেদায়েত আলীর মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
সিংড়া থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে ইসাহাক আলী সুবল পলাতক। তাকে আটকের জন্য পুলিশি অভিযান শুরু হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো থানায় কোনো মামলা হয়নি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এনআই