• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: জুন ১৪, ২০১৯, ০৯:৩২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১৪, ২০১৯, ০৯:৩২ পিএম

ময়মনসিংহে যুবলীগ কর্মী সপু হত্যা, দ্বিতীয় স্ত্রীর স্বীকারোক্তি

ময়মনসিংহে যুবলীগ কর্মী সপু হত্যা, দ্বিতীয় স্ত্রীর স্বীকারোক্তি

ময়মনসিংহে যুবলীগ কর্মী শফিকুল ইসলাম সপু হত্যা মামলার প্রধান আসামী দ্বিতীয় স্ত্রী আফরোজা শেখ ইতিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দিও দিয়েছেন নিহতের দ্বিতীয় স্ত্রী শেখ ইতি। শুক্রবার (১৪ জুন)  বিকালে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতের-১ এর বিচারক মাহবুবা আক্তার এই জবানবন্দি গ্রহণ করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির এসআই মনিরুজ্জামান জানান, শফিকুল পরকীয়ায় লিপ্ত হয়ে এবং প্রথম স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার শর্তে এক বছর আগে ইতিকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে দ্বিতীয় স্ত্রীর বাড়িতেই বসবাস করতেন শফিকুল। মাঝেমধ্যে লুকিয়ে প্রথম স্ত্রী মাহমুদার সাথে দেখা করতেন শফিকুল। এটা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেননি দ্বিতীয় স্ত্রী ইতি। গত ১০ জুন সকালে শফিকুলকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে প্রথম স্ত্রীর বাড়িতে গিয়ে সেখানে দুজনকে একসাথে দেখতে পান ইতি। সেখানে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও ঝগড়ার পর নিজ বাড়িতে চলে আসেন ইতি।

ওইদিন দুপুরে প্রথম স্ত্রীর কাছ থেকে দ্বিতীয় স্ত্রীর বাড়িতে আসেন শফিকুল। বিকালে পার্শ্ববর্তী হাবুন বেপারীর মোড়ে বিশ্বকাপ খেলা দেখে রাত ১২টার দিকে বাসায় ফিরে খাওয়াদাওয়া করে ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। পূর্বপরিল্পনা মোতাবেক ঘুমের মধ্যেই দ্বিতীয় স্ত্রী ইতি গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে ভোর হওয়ার আগেই মরদেহটি বিছানার চাদরে করে বাড়ির পাশে একটি পরিত্যক্ত ডোবায় কচুরিপানার নিচে পুঁতে রাখেন।

পরদিন ১১ জুন সেই আফরোজা শেখ ইতি তার স্বামী শফিকুল ইসলাম সপু নিখোঁজ হওয়ার কথা উল্লেখ করে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন (৬৭৬)। এতে বলা হয়, ১০ জুন রাতে বাড়ি থেকে বের হয়ে শফিকুল আর বাসায় ফিরে আসেননি।

নিখোঁজের তিন দিন পর বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দুপুরে ইতির বাসাসংলগ্ন একটি পরিত্যক্ত ডোবায় কচুরিপানার নিচে শফিকুলের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের মা নুরুন্নাহার বাদী হয়ে আফরোজা শেখ ইতিকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাত ৩-৪ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। রাতেই পুলিশ সুপার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে মামলাটি হস্তান্তর করেন এবং ওই রাতেই ইতিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এনআই