• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ১৫, ২০১৯, ১১:৪৪ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১৫, ২০১৯, ১১:৫০ এএম

টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নারায়ণগঞ্জের মাদক ব্যবসায়ী নিহত

টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নারায়ণগঞ্জের মাদক ব্যবসায়ী নিহত
প্রতীকী ছবি

ইয়াবার চালান নিতে এসে টেকনাফ পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ রাসেল মাহমুদ (৩৬) নামে নারায়ণগঞ্জের এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। শনিবার (১৫ জুন) ভোর রাত দেড়টার দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের দৈংগাকাটা পাহাড়ের পাশে এ ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ দাবি, তার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ থানায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় এলজি, ৫ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে বলে।

নিহত রাসেল মাহমুদ নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানার উত্তর লক্ষনঘোনা এলাকার ফয়েজ আহমদের ছেলে। টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশের দাবি, ইয়াবার চালান নিতেই রাসেল টেকনাফ গিয়েছিলেন।     

ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, শীর্ষ মাদক কারবারি হোয়াইক্যং ইউনিয়নের দৈংগাকাটা এলাকার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে আমীর হামজাকে ধরতে শুক্রবার রাত ১২টার দিকে অভিযান চালায় পুলিশ। ওই এলাকার উজাইঅং চাকমার পাহাড়ের পাশে পৌঁছালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অস্ত্রধারী দুষ্কৃতকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোঁড়ে। এতে পুলিশের এসআই বেরাহান, কনস্টেবল হাবিব, সজীব এবং তুহিন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়।

পরে দুষ্কৃতকারীরা গুলি করতে করতে পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক ব্যক্তিকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতাল ও পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওসি আরও বলেন, যুবকের পকেটে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে তাকে নারায়ণগঞ্জের রাসেল মাহমুদ বলে শনাক্ত করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় এলজি, ৫ হাজার পিস ইয়াবা, ৫ রাউন্ড তাজা কার্তুজ ও ৯ রাউন্ড খালি খোসা উদ্ধার করা হয়।

ওসির ধারণা, নিহত রাসেল টেকনাফের ইয়াবা ব্যবসায়ী আমির হামজার কাছ থেকে ইয়াবা কিনে চালানটি নারায়ণগঞ্জ নিতে টেকনাফে আসেন। সিডিএমএস পর্যালোচনা করে নিহত রাসেল মাহমুদের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানায় কয়েকটি মাদক মামলার অস্তিত্ব পাওয়া যায়।

ময়নাতদন্তের জন্য রাসেলের মরদেহ কক্সবাজার জেলা হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। এ ঘটনায় পৃথক আইনে মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন ওসি। 


একেএস