• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: জুন ১৮, ২০১৯, ০৫:৩৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১৮, ২০১৯, ০৫:৩৫ পিএম

আদালতে নুরুল হত্যা মামলার আসামি জীবন

সমকামিতায় বাধ্য করার ক্ষোভ থেকেই হত্যা

সমকামিতায় বাধ্য করার ক্ষোভ থেকেই হত্যা

নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে সমকামিতা করতে বাধ্য করার ক্ষোভ থেকেই রাজশাহীর পুঠিয়ায় শ্রমিকনেতা মো. নুরুল ইসলামকে ইট দিয়ে মাথায় উপর্যুপরি আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। নুরুল হত্যা মামলায় রাজশাহী ডিবি পুলিশের হাতে আটক মো. জীবন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এই তথ্য জানায়।

রাজশাহীর পুঠিয়ার কাঁঠালবাড়িয়া এএসএস ইটভাটায় শ্রমিকনেতা মো. নুরুল ইসলামের লাশ গত ১১ জুন সকালে পাওয়া যায়। এ ঘটনায় মৃত নুরুলের মেয়ে বাদী হয়ে পুঠিয়া থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে মামলা দায়ের করেন।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) দুপুরে রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র মো. ইফতে খায়ের আলমের পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা গেছে, পুলিশ সুপার রাজশাহীর নির্দেশে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় নিয়ে রাজশাহী জেলা গোয়েন্দা শাখা তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে।তদন্তে প্রাপ্ত তথ্যাদি পর্যালোচনা করে গোপন সূত্রে গত ১৬ জুন রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার রামজীবনপুর গ্রামের জিয়ারুল হকের ছেলে মো. জীবনকে (১৬) ডিবি পুলিশ পুঠিয়া থানা এলাকা থেকে আটক করে। পরে সে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

জবানবন্দিতে জীবন উল্লেখ করে, মৃত নুরুল ইসলামকে তার প্রতিবেশী হিসেবে নানা বলে সম্বোধন করত সে। নুরুল ইসলাম তাকে টাকার প্রলোভন দিয়ে প্রায় সময় সমকামিতার কাজ করাত এবং এতে অনিচ্ছা প্রকাশ করলে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করত। গত ১০ জুন রাত ৯টার দিকে সমকামিতার জন্য দুজনই পুঠিয়ার কাঁঠালবাড়িয়ার এএসএস ইটভাটায় যায়। সমকামিতার একপর্যায়ে নুরুল ইসলাম মাটিতে পড়ে যান। এ সময় আগের পুঞ্জীভূত ক্ষোভ ও সমকামিতা তার ভালো না লাগায় জেদের বশবর্তী হয়ে প্রথমে তাকে গলা টিপে ধরে। তারপর ইট দিয়ে মাথায় উপর্যুপরি আঘাত করে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে বাসায় চলে আসে।

জীবন আরো জানায়, নুরুল ইসলামের আগে থেকেই সমকামিতার বদভ্যাস ছিল এবং ওই এলাকার বিভিন্নজনকে তিনি এ কাজে ব্যবহার করতেন। এ সংক্রান্ত সাক্ষী হিসেবে ১৬৪ ধারায় আদালতে আরো তিনজন জবানবন্দি দিয়েছেন।

এনআই