টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ছোট বোন সুমাইয়াকে (৮) বাঁচাতে গিয়ে বড় ভাই নীরব (২৬) চিরনীরব হয়ে গেছেন। সাঁতার না জানা বোনকে নদী থেকে উদ্ধার করতে পারলেও নিজে রক্ষা পাননি। পানির স্রোতে ভেসে নিখোঁজ হন। নিখোঁজের ১৯ ঘণ্টা পর মঙ্গলবার (১৮ জুন) তার মরদেহ উদ্ধার করেছেন ডুবুরি দলের সদস্যরা। নীরব উপজেলার জামুর্কী ইউনিয়নের গুনটিয়া গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে।

সোমবার (১৭ জুন) দুপুরে উপজেলার গুনটিয়া গ্রামে লৌহজং নদীতে গোসলের সময় নিখোঁজ হন নীরব। ঘটনার দীর্ঘ ১৯ ঘণ্টা পর উদ্ধারকাজ চালিয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৬ ডুবুরি তার মরদেহ উদ্ধার করেন।

নীরবের মামা আলাউদ্দিন জানান, দুপুর আড়াইটার দিকে নীরব, তার স্ত্রী ও ছোট বোন নদীতে গোসল করতে যায়। তাদের কেউই সাঁতার জানে না। গোসলের একপর্যায়ে নদীর স্রোতে ছোট বোন ডুবে যাওয়া অবস্থায় জীবনের মায়া ত্যাগ করে নদীতে ঝাঁপ দেন নীরব। পরে নীরব ও তার স্ত্রীর সহায়তায় বোন উদ্ধার হলেও সাঁতার না জানায় নদীতে ডুবে যান নীরব। পরে মির্জাপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ডুবুরি দলের সদস্যরা নীরবের মরদেহ উদ্ধার করেন।

মির্জাপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘সোমবার ঘটনার পর থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত উদ্ধার কার্যক্রম চালিয়েছি এবং মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে কাজ চালিয়ে বেলা পৌনে ১১টার সময় নীরবের লাশ ঘটনাস্থল থেকেই উদ্ধার করা হয়।’

মির্জাপুর থানার ওসি একেএম মিজানুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নীরবের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এনআই