• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ১৯, ২০১৯, ১২:১৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১৯, ২০১৯, ০১:০৪ পিএম

পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

৫০ শয্যা হলেও উন্নত স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত রোগীরা

৫০ শয্যা হলেও উন্নত স্বাস্থ্য সেবা  থেকে বঞ্চিত রোগীরা
পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে -ছবি : জাগরণ

গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা ব্যবস্থা অত্যন্ত নাজুক পরিস্থিতিতে চলছে। ৩০ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি চিকিৎসা সেবায়। সেই অকেজো এক্স-রে মেশিনটি আজও সচল হয়নি, পরিবর্তন আসেনি ১৭ বছর আগের লক্কড়-ঝক্কড় এ্যাম্বুলেন্সেও। 

সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে হাসপাতালে প্রতিদিনই বাড়ছে রোগীদের ভিড়। অথচ তাদের চিকিৎসা সেবায় ১৮ পদের বিপরীতে নিয়োজিত রয়েছেন মাত্র ৪ চিকিৎসক। দীর্ঘ দিন ধরে শূন্য পড়ে আছে গাইনি, অ্যানেসথেসিয়া, জুনিয়র অর্থপেটিক্স, জুনিয়র কনসালটেন্ট পদ। বার বার সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও এ সমস্যার কোনো সমাধান হয়নি। ফলে কাঙ্খিত চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে রোগীরা।

জরুরি অবস্থায় তাদের চিকিৎসা সেবা পেতে প্রাইভেট কোনো ক্লিনিকে অথবা জীবন ঝুঁকি নিয়ে পাড়ি জমাতে হয় রংপুর মেডিকেলে। বেশিরভাগ সময় গর্ভবতী রোগীদের ডেলিভারি করার জন্য প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়। এক্ষেত্রে চিকিৎসা দিতে বিভিন্ন ক্লিনিকে নিয়মিত বসেন হাসপাতালটির দায়িত্বপ্রাপ্ত ডাক্তারগণ এমন অভিযোগও রয়েছে। 

কর্মকর্তা, টেকনিশিয়ান ও কর্মচারীগণ অনিয়ম কে নিয়ম মেনে দিনানিপাত করছেন। মাস শেষে সেবার পরিমাণের থেকে ব্যয়ের অর্থ দাঁড়ায় কয়েক গুণ। রোগীদের খাওয়ার বিল যেমন বাড়ানো হয় তেমনি ব্যয় দেখানো হয় ওষুধেও। এভাবেই খাতা কলমে ব্যয় বাড়ানো হলেও মান বাড়েনি সেবার। 

৩১ শয্যার হাসপাতালটি চালুকালীন থেকেই এখন পর্যন্ত অচল রয়েছে এক্স-রে মেশিনটি। টেকনিশিয়ান রয়েছে তবে এ পর্যন্ত কোনো এক্স-রে করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে হাসপাতালটি ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও সেই ১৭ বছর আগের জরাজীর্ণ এ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। রোগীদের অভিযোগ, প্রায়ই এই এ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে পৌঁছাতে বিরম্বনায় পড়তে হয়।

রেডিও টেকনোলজিস্ট (রেডিওগ্রাফার) জুলফিকার আলী জুয়েল জানান, এক্স-রে মেশিনটির মেরামত অযোগ্য ঘোষণা করায় বেশ কয়েকবার নতুন মেশিনের জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করা হয়েছে। তাতে কোন লাভ হয়নি। 

 হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালে শূন্য পদে ডাক্তার না থাকায় মাত্র ৯ জন মেডিকেল সহকারী ও ১৪ জন নার্স দিয়ে কোন রকমে রোগীদের সেবা প্রদান করা হচ্ছে। সরকারি এসব প্রতিষ্ঠানে সেবা না পেয়ে , যত্রতত্র গড়ে ওঠা ক্লিনিক ও ডায়াগেনেস্টিকগুলোতে টেস্ট ও সেবা বাণিজ্যের কাছে বন্দী ও নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে এখানকার মানুষ। 


একেএস