• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: জুন ২০, ২০১৯, ০৪:০৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ২০, ২০১৯, ০৪:০৯ পিএম

টাঙ্গাইল আদালতে সাবেক এমপি রানা, দুজনের সাক্ষ্য গ্রহণ

টাঙ্গাইল আদালতে সাবেক এমপি রানা, দুজনের সাক্ষ্য গ্রহণ

টাঙ্গাইলের আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহম্মেদ হত্যা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানাকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। সেই সাথে এই মামলায় চিকিৎসকসহ দুজনের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রাশেদ কবিরের আদালতে এই জেরা অনুষ্ঠিত হয়। এ নিয়ে এই মামলার মোট ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হলো। এর আগে বুধবার (১৯ জুন) সকালে সাবেক এমপি রানাকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে টাঙ্গাইল কারাগারে আনা হয়।

টাঙ্গাইলের কোর্ট পরিদর্শক তানভীর আহাম্মেদ জানান, রাষ্ট্রপক্ষ থেকে দুই সাক্ষীকে হাজির করা হয়। তারা হলেন চিকিৎসক আশরাফ আলী এবং আব্দুল আওয়াল নামের এক ব্যক্তি। দুজন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামিপক্ষ থেকে তাদের জেরা সম্পন্ন করা হয়। পরে রানাকে আদালত থেকে টাঙ্গাইল কারাগারে নেওয়া হয়।

এছাড়া টাঙ্গাইলে যুবলীগের দুই নেতা শামীম ও মামুন হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানাকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। এতে করে তার মুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই। বুধবার (১৯ জুন) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. বশির উল্লা। রানার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী ও রুশো মোস্তফা।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহম্মেদের গুলিবিদ্ধ লাশ তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিন দিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৪ সালের আগস্টে গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তে এই হত্যায় তৎকালীন সংসদ সদস্য আমানুর ও তার তিন ভাইয়ের জড়িত থাকার বিষয়টি বের হয়ে আসে। ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় গোয়েন্দা পুলিশ। এই মামলায় আমানুর ছাড়াও তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পাসহ ১৪ জন আসামি রয়েছেন।

এনআই