• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ২১, ২০১৯, ০৫:০০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ২১, ২০১৯, ০৫:০০ পিএম

ডিসি ড্রাইভার মেয়র হেলপার!

ডিসি ড্রাইভার মেয়র হেলপার!
ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ রোলারের স্টিয়ারিংয়ে বসা আর তাকে সাহায্য করছেন ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু  ছবি : জাগরণ

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) মধ্যরাতে ঘড়ির কাঁটা তখন ১২টা পার করেছে, রাস্তায় উৎসুক জনতার ভিড়। ভিড় ঠেলে সেই রাতে ঘটনাস্থলে যাওয়ার হুড়োহুড়ি। জেলা প্রশাসক (ডিসি) সরোজ কুমার নাথ রোলারের স্টিয়ারিংয়ে বসা, আর তাকে সাহায্য করছেন ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু। মধ্যরাতে ঝিনাইদহ শহরের পোস্ট অফিস মোড়, সুইট হোটেলের সামনে ও বালিকা বিদ্যালয় সড়ক মেরামতের কাজ চলছে তখন। কাজটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের। জেলা প্রশাসক ও পৌর মেয়রের রাস্তা নির্মাণের এই অভিযান দেখার জন্যই বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে মূলত বাড়িফেরা শত শত উৎসুক জনতার ভিড়।

রাত প্রায় ৩টা পর্যন্ত সড়ক ও জনপথ বিভাগের ভাঙাচোরা চলাচলের অযোগ্য এই রাস্তা মেরামত করে তারা বাড়ি ফেরেন। মধ্যরাতে উপস্থিত হরিণাকুন্ডু উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, রোলার ড্রাইভার ও হেলপার হিসেবে জনস্বার্থে জেলা প্রশাসক এবং পৌর মেয়রের এই কাজ ব্যতিক্রমই বটে।

এ বিষয়ে পৌরসভার মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু জানান, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটি ৬ মাস ধরে মেরামতের জন্য বলা হচ্ছে। এ নিয়ে সমন্বয় কমিটির ৪টি সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। কিন্তু স্বার্থ না থাকায় সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এই রাস্তা করেননি। জনস্বার্থকে তারা উপেক্ষা করেছেন। ফলে বাধ্য হয়ে জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথের অনুরোধে ঝিনাইদহ পৌরসভার মালামাল ও
লোকবল দিয়ে রাস্তাটি মেরামত করে চলাচলের যোগ্য করা হয়।

পৌর মেয়র জানান, রাতের বেলা রাস্তা তৈরিতে পৌরসভার অনেক হতদরিদ্র শ্রমিক স্বেচ্ছায় শ্রম দিয়েছেন। সওজের রাস্তা জনস্বার্থে পৌরসভার মেরামতের বিষয়টি নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম জানান, ‘আমরা রাস্তাটি মেরামত করতে ১৪ লাখ টাকার টেন্ডার করেছি। সিএস অনুমোদন হয়ে এসেছে। দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।’ তিনি বলেন, সরকারি কাজ করতে তো সময় লাগে। এ জন্য সমন্বয় কমিটির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে দেরি হচ্ছে।

এনআই