• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ২২, ২০১৯, ০৯:০১ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ২২, ২০১৯, ০৯:০১ এএম

চার হাজার মানুষের একমাত্র দুঃখ এই রাস্তাটি !

চার হাজার মানুষের একমাত্র দুঃখ এই রাস্তাটি !
বাবুর বাজার থেকে আমিরখানী পর্যন্ত এক কিলোমিটারের রাস্তায় সামান্য বৃষ্টিতে পানি ও কাদা জমে গেছে- ছবি: জাগরণ

হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার আমিরখানী গ্রামে প্রায় ৪ হাজার মানুষের বসবাস। অথচ ওই গ্রামে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটির বেহাল অবস্থা। বাবুর বাজার থেকে আমিরখানী পর্যন্ত এক কিলোমিটারের রাস্তার কারণে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এই ৪ হাজার মানুষকে। সামান্য বৃষ্টি হলে পানি ও কাদা জমে থাকে সম্পূর্ণ রাস্তায়। তখন যানবাহন-তো দূরের কথা, পায়ে হেঁটেই চলাচল করা বিপদজনক হয়ে দাঁড়ায়।

দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থা চলে আসলেও রাস্তাটি সংস্কারের জন্য কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এই রাস্তাটির সংস্কার করার কোন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না। বিভিন্ন সময় রাস্তাটি পাকাকরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েও কথা রাখেননি জনপ্রতিনিধিরা। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।

এলাকাবাসী জানায়, সামান্য বৃষ্টি হলেই এই রাস্তাটি দিয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। হাটু পর্যন্ত কাদা পাড় হয়ে যেতে হয় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ গ্রামের সাধারণ জনগণকে। অনেক সময় পা পিছলে ঘটে দুর্ঘটনা। নষ্ট হয়ে যায় বাজার সদায়ও।

এ ব্যাপারে আমিরখানী গ্রামে যুবক আবু সালেক বলেন, এমপি থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, কেউই বাকি নেই যে আমরা তাদের কাছে যাইনি। বিভিন্ন সময় প্রতিশ্রুতি পেয়েছি। কিন্তু বাস্তবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

রেদওয়ানিয়ার মাদ্রাসা শিক্ষক আব্দুল কাদির বলেন, এলাকার রাস্তা এতই খারাপ যে অনেক ছাত্র মাদ্রাসা, স্কুল, কলেজে যেতে চায় না। আবার শিক্ষার্থীরা অনেক সময় গায়ে কাদা নিয়ে স্কুলে চলে যায়। তিনি এই দুর্ভোগ সমাধানে জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাছে অনুরোধ জানান।

ফারুক মিয়া নামে এক ব্যক্তি বলেন, চেয়ারম্যানের কাছে রাস্তার জন্য গেলে তিনি বলেন রাস্তার বাজেট আসেনি। অথচ নির্বাচনের সময় বলেছিলেন যে গ্রামকে শহরে উন্নতি করা হবে।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু আমরা এই দেশের নাগরিক হয়ে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাই।

এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ওয়ারিশ উদ্দিন খান বলেন, আমিরখানী গ্রামটি খুবই অবহেলিত। কিন্তু গ্রামের রাস্তা পাকা করার দায়িত্ব আমার কাছে না। তবে আমি অনেক বার মাটি ফেলে এটি মেরামত করছি।

টিএফ