• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ২২, ২০১৯, ০৮:৫৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ২২, ২০১৯, ০৮:৫৬ পিএম

১ জুলাই থেকে দুই মাস সুন্দরবনে মাছ ধরা নিষেধ

১ জুলাই থেকে দুই মাস সুন্দরবনে মাছ ধরা নিষেধ

পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবনের ছোট খালগুলোতে ১ জুলাই থেকে দুই মাস মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মৎস্য ও অন্যান্য জলজ প্রাণীর নিরাপদ প্রজনন, সংরক্ষণ ও বিষ সন্ত্রাস প্রতিরোধ করতে এই উদ্যোগ নিয়েছে বন বিভাগ। মৎস্যভান্ডার হিসেবে খ্যাত ম্যানগ্রোভ এই বনের পূর্ব ও পশ্চিম বিভাগের খুলনা, সাতক্ষীরা, শরণখোলা ও চাঁদপাই এই চারটি রেঞ্জে ইতিমধ্যে চার শতাধিক খাল চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে ২৫ ফুটের অধিক প্রস্থের খালগুলো এই নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে বলে সুন্দরবন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।

বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ অংশের ৬ হাজার ১৭ বর্গকিলোমিটার আয়তনের সুন্দরবনে জলভাগের পরিমাণ ১ হাজার ৮৭৪.১ বর্গকিলোমিটার, যা সমগ্র সুন্দরবনের ৩১.১৫ ভাগ। এই জলভাগে জালের মতো ছড়িয়ে রয়েছে ভোলা, বলেশ্বর, শ্যালা, পশুরসহ ১৩টি বড় নদ-নদী ও ৪৫০টি ছোট খাল। জুলাই ও আগস্ট মাস মাছ ও জলজ প্রাণীর বেশির ভাগেরই প্রজননের সময়। এই সময়ে সুন্দরবনের ছোট ছোট খালে মাছের আধিক্য বেশি থাকার সুযোগে এক শ্রেণির অসাধু জেলে গোপনে ছোট খালে বিষ প্রয়োগ করে মৎস্য আহরণ করে থাকে। নিরাপদ প্রজননের সুযোগ সৃষ্টিসহ সুন্দরবন সুরক্ষার জন্যই দুই মাস মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

বাগেরহাটের পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. মাহমুদুল হাসান এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, এ বছরের মার্চ মাসে মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক দুই মাস নির্দিষ্ট করে দেওয়া ছোট খালগুলোতে যাতে কেউ ঢুকতে বা মাছ ধরতে না পারে, সেজন্য কঠোর নজরদারি করবে সুন্দরবন বিভাগ।

এ ব্যাপারে পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, এখন থেকেই পাস-পারমিট নিতে আসা জেলেদের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাছড়া বিষ সন্ত্রাস বন্ধে বনসংলগ্ন এলাকায় সভা-সমাবেশ করা হবে। সার্বক্ষণিক নজরদারিতে বন বিভাগের পাশাপাশি সুন্দরবন সহব্যবস্থাপনা কমিটি, সিপিজি, ভিটিআরটি, ওয়াইল্ড টিমের সদস্যরা নিয়োজিত থাকবেন।

এনআই