• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ২৫, ২০১৯, ১২:২১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ২৫, ২০১৯, ১২:৫৪ পিএম

মুক্তিযোদ্ধার মেয়ের হাত-পা ভেঙে দিলো প্রতিপক্ষ

মুক্তিযোদ্ধার মেয়ের হাত-পা ভেঙে দিলো প্রতিপক্ষ
আহত তানজিলা আক্তার- ছবি: জাগরণ

নাটোরের নওপাড়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত মোবারক হোসেনের মেয়ে তানজিলা আক্তারকে (২৮) হাত-পা ভেঙে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। সোমবার (২৪ জুন) সকালে গুরুদাসপুর উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের নওপাড়া গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। 

আহত তানজিলা সিংড়া চলনবিল মহিলা ডিগ্রী কলেজের স্নাতক ফাইনাল ইয়ারের ছাত্রী। সোমবার রাত ৯টায় গুরুদাসপুর থানায় তার ভাই মোশারফ হোসেন বাদী হয়ে ১৪ জনের নামে মামলা করেন।

মামলার নথি ও পারিবাবিক সূত্রে জানা যায়, সকাল ১০ টার দিকে প্রতিবেশী মোহাম্মদ আলীর ছেলে সন্ত্রাসী সাদিকুলের নেতৃত্বে ১০/১৫ জন লোক এসে বাদীর বাগানের ডাব গাছ থেকে জোড়পূর্বক ডাব পারতে থাকে। এসময় বাদীর ছোট বোন তানজিলা তাদের নিষেধ করে। সেসময় আনিছুর, মকুল, আশরাফুল, মহর, মহরম, সাত্তার, শুকুরসহ আরো অনেকে তাদের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথারি ভাবে আঘাত করতে থাকে। ঘটনাস্থলেই তার ডান হাত ভেঙ্গে যায় এবং পায়ে হাসুয়া দিয়ে কোপ দিলে গুরুতর জখম হয়। পরে স্থানীয়রা তানজিলাকে উদ্ধার করে গুরুদাসপুর উপজেলা স্ব্যাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

আহত তানজিলার ভাবি সেলিনা বেগম বলেন, তানজিলাকে হত্যার উদ্দ্যেশ্যে তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করা হয়েছে। পূর্বে থেকেই তারা আমাদের বিভিন্ন ভাবে অন্যায় অত্যাচার ও জমি-জমা দখল করে আসছে। সর্বশেষ ডাব পাড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে তারা আমাদের ওপর হামলা চালায়। আশরাফুলের তিন ভাই ওসি হওয়ায় তাদের ক্ষমতার বলে প্রতীপক্ষরা এসব কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছে বলে দাবি করেন। আমরা এর ন্যায় বিচার চাই। এখনো তাদের ভয়ে বাড়ি থেকে বের হতে পারছি না। এ ব্যাপারে আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এ বিষয়ে প্রতিপক্ষ আশরাফুল ও তার লোকজন মারধরের কথা অস্বীকার করেন।

গুরুদাসপুর উপজেলা স্ব্যাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা.কামরুল আহসান বলেন, আহত তানজিলার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার ডান হাতের দুইটা হাড় ভেঙে গিয়েছে এবং দুই পা মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখমের চিহ্ন রয়েছে।

গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.মোজাহারুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে খুব দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। ইতোমধ্যেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

টিএফ