১১ বছর বয়সী ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী তার সহপাঠীদের সহযোগিতায় নিজেই ঠেকিয়ে দিয়েছে তার জন্য আয়োজন করা বাল্যবিবাহ। ছাত্রীটি নেত্রকোনা জেলার মদন উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর টি আমিন সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে।

স্থানীয়রা জানান, মদন পৌরসভার মামুদপুর গ্রামের ছিদ্দিক মিয়ার ছেলে পাপ্পুর (২১) সাথে মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাতে একই গ্রামের ওই ছাত্রীর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। অভিভাবকদের কাছে নিজের বিয়ে ঠিক হওয়ার কথা শুনে সোমবার (২৪ জুন) বিকালে ছাত্রীটি কৌশলে বাড়ি থেকে বের হয় বিয়ে বন্ধ করার উদ্দেশ্যে। পরে সহপাঠীদের নিয়ে সে তার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আনোয়ারা জেবুন্নাহারের বাসায় গিয়ে বলে তার বিয়ের বয়স (কমপক্ষে ১৮ বছর) হয়নি, তাই এ বিয়েটি যেভাবেই হোক বন্ধ করতে হবে।

তারপর প্রধান শিক্ষক এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনের সাথে কথা বলেন। প্রশাসনের পরামর্শক্রমে প্রধান শিক্ষক রাতেই দুই পক্ষের অভিভাবককে তার বাসায় ডেকে আনেন। তিনি উভয় পক্ষকে বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে অবহিত করলে তারা বিষয়টি বুঝতে পারেন এবং ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবেন না বলে ওই অভিভাবকরা মুচলেকা দেন।

এদিকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ারা জেবুন্নাহার উপস্থিত লোকজনের সামনে হতদরিদ্র এই শিক্ষার্থীর লেখাপড়াসহ যাবতীয় ব্যয়ভার বহন করার প্রতিশ্রুতি দেন।

এনআই