• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: জুন ২৬, ২০১৯, ০২:২১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ২৬, ২০১৯, ০২:২১ পিএম

শুরু হতে যাচ্ছে তৃতীয় মেঘনা সেতুর কাজ

শুরু হতে যাচ্ছে তৃতীয় মেঘনা সেতুর কাজ

আড়াইহাজারের বিশনন্দী ও বাঞ্ছারামপুরের কড়িকান্দি মেঘনা নদীর উপর দিয়ে তৃতীয় মেঘনা সেতু নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে সেতুবিভাগ।

আড়াইহাজারের উন্নয়নের রুপকার আলহাজ নজরুল ইসলাম বাবু এমপি ও ক্যাপ্টেন এবি তাজুল ইসলাম এমপির আন্তরিক প্রচেষ্ঠায় এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সদিচ্ছার কারণে অবশেষে নির্মাণ কাজ শুরু হতে যাচ্ছে তৃতীয় মেঘনা সেতুর। সেতু নির্মাণ কাজে ৭,১৯৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয় যার দৈর্ঘ্য ২৭৫০ মিটার। মেঘনা সেতু নির্মাণ হলে এই সড়কটি ঢাকা হতে আড়াইহাজার হয়ে বাঞ্ছারামপুর দিয়ে চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম হতে বাঞ্ছারামপুর হয়ে আড়াইহাজার দিয়ে ঢাকা-সিলেট বিকল্প মহাসড়ক হিসেবে পূর্ণাঙ্গ ব্যবহার করতে পারবে।

মেঘনা সেতুর উপর দিয়ে নির্মাণ করা যেতে পারে ঢাকা-সিলেট ও চট্টগ্রামের বিকল্প রেলপথও।

ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেটের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ ও উন্নতর করতে বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর সড়ক। এতে ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেটের দূরত্ব যেমন কমবে তেমনি মুক্তি মিলবে যানজট নামক ভোগান্তি থেকে। পূর্বে সব ধরনের সম্ভাবনা ও সুযোগ থাকার পরও পরিকল্পনার অভাবে উল্লেখিত সড়ক ব্যবস্থা চালু হয়নি।

মেঘনা নদীর উপর তৃতীয় মেঘনা সেতু নির্মাণের মধ্যদিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেটের সাথে স্থলপথে একটি সড়কের মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপিত হবে। ঢাকা থেকে আড়াইহাজার হয়ে মেঘনা নদী পার হয়ে বাঞ্ছারামপুর-মুরাদনগর হয়ে ময়নামতী দিয়ে চট্টগ্রাম যাওয়া হয় তবে ঢাকা-ভৈরব ময়নামতী রাস্তার চেয়ে ৮০/৯০ কিলোমিটার দূরত্ব কমে যাবে। এই সড়কের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার গাউছিয়ার এশিয়ান হাইওয়ের সাথে ও যুক্ত হতে পারে আখাউড়া-নবীনগর-বাঞ্ছারামপুর-আড়াইহাজার হয়ে এশিয়ান হাইওয়ে। বাংলাদেশের সড়ক যোগাযোগের ইতিহাসে একটি মাইলফলক হবে এই তৃতীয় মেঘনা সেতু এবং উন্মোচিত হবে যোগাযোগের নতুন দিগন্ত। চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারকারীরা বিকল্প সড়ক ব্যবহার করার সুযোগ পাবে এবং যানজট অনেকাংশে কমে আসবে।

এসকে/কেএসটি