• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ২৬, ২০১৯, ০৭:৪১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ২৬, ২০১৯, ০৭:৪১ পিএম

দুই সপ্তাহ ধরে অচল বেনাপোল কাস্টমসের স্ক্যানিং মেশিন 

দুই সপ্তাহ ধরে অচল বেনাপোল কাস্টমসের স্ক্যানিং মেশিন 

বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমসে চোরাচালান প্রতিরোধে ব্যবহৃত একমাত্র স্ক্যানারটি প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে অচল হয়ে পড়ে রয়েছে। এটি মেরামতে কর্তৃপক্ষের কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। ফলে স্বর্ণ ও বৈদেশিক মুদ্রাসহ মূল্যবান সামগ্রী পাচারের আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে।

স্থানীয়রা বলছেন, চোরাচালান প্রতিরোধে ব্যবহৃত এই স্ক্যানারটি প্রতিমাসে একবার করে অচল হয়ে পড়ে। এতে চোরাকারবারীরা এ পথ দিয়ে নির্ভয়ে পাচার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বলছে, মেশিনটির যন্ত্রাংশ নষ্ট হলে দেশে পাওয়া যায় না। ফলে মেরামতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। বিষয়টি ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

জানা গেছে, যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়াতে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে চিকিৎসা, ব্যবসা ও ভ্রমণসহ বিভিন্ন কাজে যাত্রীদের যাতায়াত বেশি। প্রতিদিন প্রায় ৫ থেকে ৭ হাজার যাত্রী ভারতে যাতায়াত করছে। তেমনি অনুন্নত অবকাঠামোর কারণে চোরাচালানীরাও এ পথকে নিরাপদ ভেবে স্বর্ণ, বৈদেশিক মুদ্রাসহ বিভিন্ন মূল্যবান সামগ্রী যাত্রীর ছদ্মবেশে পাচার করছে। বেনাপোল কাস্টমসের নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল হওয়ায় এ সমস্ত চালানের অধিকাংশ আটক হচ্ছে ভারতের পেট্রাপোল চেকপোস্ট কাস্টমসে।

বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমসে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে যাত্রীর ব্যাগেজ পরীক্ষার কাজে ব্যবহৃত স্ক্যানার মেশিনটি সম্পূর্ণ অচল হয়ে পড়ে আছে। হাতে কয়েকটি ব্যাগ তল্লাশি করলেও অধিকাংশ ব্যাগ পরীক্ষা না করেই যাত্রীরা ভারত প্রবেশ করছে।
 
স্থানীয় ব্যবসায়ী পারভেজ বলেন, প্রতি বছর এ পথ দিয়ে যে পরিমাণ যাত্রী যাতায়াত করে তা থেকে সরকার ভ্রমণকর বাবদ প্রায় শত কোটি টাকা রাজস্ব আয় করে থাকে। কিন্তু কাঙ্খিত যাত্রী সেবা নেই কাস্টমসে। প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর উন্নয়নও নেই। এ প্রকার দুর্ভোগ ও হয়রানির মধ্য দিয়ে যাত্রীদের যাতায়াত করতে হয়। কতিপয় কর্মকর্তার সহযোগিতায় অবাধে পাচার হচ্ছে অনেক পণ্য। এতে কাস্টমসের কারও পকেট ভারী হলেও সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব।

বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা আজিজুল ইসলাম জানান, স্ক্যানার মেশিনটি অচল থাকায় পাচারের সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে। পাঁচ হাজার যাত্রীর ব্যাগ তো আর হাতে তল্লাশি করা যায় না। বিষয়টি কাস্টমসের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। এছাড়া যে যন্ত্রটি নষ্ট হয়েছে তার মূল্য ১২ লাখ টাকা। এর পার্টস পত্র দেশেও কিনতে পাওয়া যায় না। তাই অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

কেএসটি