• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ২৭, ২০১৯, ০৯:৪৬ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ২৭, ২০১৯, ০৯:৫৮ এএম

নেত্রকোনায় ঝুঁকিপূর্ণ রেলসেতু দিয়ে ট্রেন চলাচল, দুর্ঘটনার আশঙ্কা 

নেত্রকোনায় ঝুঁকিপূর্ণ রেলসেতু দিয়ে ট্রেন চলাচল, দুর্ঘটনার আশঙ্কা 
নেত্রকোনায় ঝুঁকিপূর্ণ রেলসেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলছে ট্রেন -ছবি : জাগরণ

নেত্রকোনায় ঝুঁকিপূর্ণ রেলসেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলছে ট্রেন। যে কোনো সময় বড় ধরনের দুঘর্টনার আশঙ্কা করছে যাত্রী সাধারণ। এ অঞ্চলের যাত্রী পরিবহন ও পণ্য পরিবহনের কথা চিন্তা করে তৎকালীন বৃটিশ সরকার ১৯২৭ সালে ময়মনসিংহ থেকে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পর্যন্ত ট্রেন লাইন স্থাপন করে। এ রেলপথে নেত্রকোনা সদর উপজেলার ঠাকুরাকোনা কংশ নদীর উপর একটি এবং মোহনগঞ্জ উপজেলার স্থানীয় একটি নদীর উপর আরেকটি রেলসেতু রয়েছে। 

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাক হানাদার বাহিনী যাতে রেলপথে সৈন্য ও গোলাবারুদ পরিবহন করতে না পারে সেজন্য মুক্তিযোদ্ধারা ঠাকুরাকোনা রেলসেতু বোমা মেরে উড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। স্বাধীনতার পর রেলসেতু সংস্কার করে রেল চলাচল স্বাভাবিক করা হয়। কিন্তু স্বাধীনতার ৪৮ বছর পেরিয়ে গেলেও রেলসেতু দুটি যথাযথ সংস্কার না করায় বর্তমানে তা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে ঠাকুরাকোনা ও মোহনগঞ্জ সেতুর পিলারে ফাটল দেখা দিয়েছে। খসে পড়ছে পিলারের ইট। যে কোনো সময় পিলার ভেঙ্গে পড়ার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা। রেল পারাপারের সময় সেতুগুলোতে যে কম্পনের সৃষ্টি হয় তাতে আশপাশের লোকজনের মাঝে অজানা এক আতঙ্ক কাজ করে এই বুঝি দুর্ঘটনা ঘটে।

কদম দেওলী গ্রামের আবুল কালাম আজাদ জানান, খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে রেলসেতুটি। কিছুদিন আগে রেললাইন সংস্কার হলেও রেলসেতুটি সংস্কার করেনি কর্তৃপক্ষ। ফলে যে কোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।

মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার আনিছুর রহমান বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটির কাঠের স্লিপারগুলোতে চিকন কাঠের চটি দিয়ে কোনো রকমে জোড়াতালি দিয়ে রাখা হয়েছে। এতে যে কোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

স্থানীয় জিয়াউর রহমান খোকন বলেন, সেতুর উপর দিয়ে ট্রেন যাওয়ার সময় সেটিতে ব্যাপক কাঁপন ধরে। এতে যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। নেত্রকোনা বড় স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মো. রফিক উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি রেলসেতু ঝুঁকিপূর্ণের কথা স্বীকার করে বলেন, রেলসেতু সংস্কার ও নিমার্ণ করার বিষয়টি দেখার দায়িত্ব রেলের প্রকৌশল বিভাগের। আমরা শুধু ঠিকমতো ট্রেন আসছে যাচ্ছে কি না এবং যাত্রীরা টিকেট করছে কি না তা দেখভাল করি।  

 

একেএস