• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৪, ২০১৮, ১০:০৮ পিএম

নৌকার দাবিতে ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে আ.লীগের বিক্ষোভ অব্যাহত

নৌকার দাবিতে ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে আ.লীগের বিক্ষোভ অব্যাহত

 

ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ইমদাদুল হককে নৌকার মনোনয়ন দেয়ার দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে জেলার পীরগঞ্জ ও রানীশংকৈল উপজেলা। ওই আসনে আওয়ামী লীগসহ তাদের সহযোগী সংগঠনগুলো নৌকার দাবিতে আন্দোলন সংগ্রাম অব্যাহত রয়েছে আজ ৫ দিন। আগামী (৯ ডিসেম্বর) পর্যন্ত কর্মসূচি ঘোষনা করেছেন আন্দোলনকারীরা। নেতাদের দাবি নৌকার প্রতীক না পাওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন অব্যাহত রাখবেন।

মঙ্গলবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের ডাকে শহরের পশ্চিম চৌরাস্তায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করে আওয়ামী লীগসহ তাদের সহযোগী সংগঠনগুলো।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- উপজেলা আওয়মী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি একরামুল হক, সাধারণ সম্পাদক, আকতারুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক রেজওয়ানুল হক বিপ্লবসহ অন্যরা।

তারা অভিযোগ করে বলেন, ২০০৮ সালে জাপার হাফিজ উদ্দীন এবং ২০১৪ সালে ওয়ার্কাস পর্টির জেলা সভাপতি ইয়াসিন আলী মহাজোটের মনোনয়ন পেয়ে আওয়ামী লীগের ভোটে এমপি নির্বাচিত হলেও তারা তাদেরকে মূল্যায়ন না করে আত্মীয় স্বজন নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। কিন্তু তারা এলাকার প্রত্যাশিত উন্নয়নসহ আওয়ামী পরিবারের লোকজনের চাকরির ব্যাপারে তেমন কোনো ভূমিকা রাখতে পারেন নি। এ কারণে দলের অস্তিত্বের স্বার্থে তারা এবার দলীয় এমপি চান।

পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেজওয়ানুল হক বিপ্লব জানান, ঠাকুরগাঁও-৩ আসন আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এবার দলীয় মনোনয়ন পেয়ে বেশিরভাগ ইউনিয়নে চেয়ারম্যানসহ পীরগঞ্জ ও রাণীশংকৈল পৌরসভায় দলীয় মেয়র নির্বাচিত হয়। আওয়ামী লীগ সুসংঠিত বলে প্রতিটি নির্বাচনে জয় সম্ভব হয়েছে। জাপা ও ওয়ার্কাস পার্টির অবস্থান নেই বললেও চলে। এমনকি ভোটকেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট দেওয়ার মতো তাদের কর্মী সমর্থক নেই।
 
এদিকে জেলা আওয়মী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ইমদাদুল হক ১৯৯৬ সালে নৌকার মনোনয়নে ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে এমপি নির্বাচিত হন। এর আগে তিনি ২০০৮ ও ২০১৪ সালে দলীয় মনোনয়ন পেলেও কেন্দ্রীয়  সিদ্ধান্তে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাড়ান এবং আসনটি ছাড় দেন মহাজোটকে।

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাবেক এমপি ইমদাদুল হক  আওয়ামী লীগের মনোনয়ন  না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন। ইতোমধ্যে তার মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষিত হয়েছে। এ আসনে এখন পর্যন্ত মহাজোটের কোনো প্রার্থীকে চুড়ান্ত করা হয়নি। স্থানীয়দের মতে, জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য হাফিজ উদ্দীন অথবা ওয়ার্কাস পার্টির জেলা সভাপতি অধ্যাপক ইয়াসিন আলীকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে। তাই আওয়ামী লীগ তা মানতে রাজি নন।

এসসি/বিএস