• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ১, ২০১৯, ১২:০০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১, ২০১৯, ১২:০০ পিএম

নড়াইলে পাট চাষ এখন কৃষকের গলার ফাঁস! 

নড়াইলে পাট চাষ এখন কৃষকের গলার ফাঁস! 

ধার দেনা করে অন্যের জমি বর্গা নিয়ে পাট বুনেছিলাম। পাটের আবাদ ভালো হলে দামও ভালো পাবো, অন্যের দেনা মিটিয়ে লাভ হবে এই আশায়। এখন বৃষ্টি না হওয়ার কারণে পাটের আগা (মূল) শুকিয়ে যাচ্ছে, পাট গাছ বড় হচ্ছে না। আষাঢ় মাসের অর্ধ্বেক হতে গেলেও দেখা মিলছে না বৃষ্টির। বৃষ্টি না হওয়ায় পাট নিয়ে মহা চিন্তায় আছি। কথাগুলো বলছিলেন সদর উপজেলার সিমানন্দপুর গ্রামের পাট চাষি ইশারত শেখ।

জানাগেছে, নড়াইলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে পাটের আবাদ হলেও হাসি নেই কৃষকদের মুখে। পাট চাষ এখন কৃষকদের গলার ফাঁস হয়ে দেখা দিয়েছে। জমিতে পানি না থাকায় মাটি ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। হতাশ হয়ে পড়ছেন পাট চাষিরা। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে পাটের আবাদ হলেও উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পুরন হওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন খোদ কৃষি বিভাগ।

সদর উপজেলার ফেদি গ্রামের তরিকুল ইসলাম বলেন, গত বছর পাটের দাম ভালো পাওয়ায় এ বছর অরও বেশি জমিতে পাটের আবাদ করা হয়েছে। কিন্তু এখন জমিতে পানির খুবই প্রয়োজন হলেও বৃষ্টি হচ্ছে না। বৃষ্টি না হওয়ার কারণে পাটের আগা শুকিয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

লোহাগড়া উপজেলার পদ্মবিলা গ্রামের রতন বিশ্বাস বলেন, আষাঢ়-শ্রাবণ মাস বৃষ্টির সময় হলেও এবছর বৃষ্টি হচ্ছে না। বৃষ্টির পানি না পাওয়ার কারণে পাট বড় হচ্ছে না। পাট যতটুকু বড় হয়েছে কেটে যে জাগ (পানিতে পচানি) দিব সে পানিও খাল-বিলে নেই।

কালিয়া উপজেলার পুরুলিয়া এলাকার আবির হোসেন বলেন, আষাঢ় মাষেও বৃষ্টি হচ্ছে না এমন অবস্থা আর কয়েকদিন চলতে থাকলে জমিতেই পাটগাছ শুকিয়ে নষ্ট হয়ে যাবে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক চিন্ময় রায় বলেন, বিগত সময়ে পাটের নায্য মূল্য পাওয়ায় জেলার কৃষকরা পাট চাষে আগ্রহী হচ্ছে। চলতি মৌসুমে জেলায় পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ হাজার ৬শ ১০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে ২০ হাজার ৯শ ৫০ হেক্টর জমিতে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩৪০ হেক্টর বেশি জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, পাটের জমিতে পানি না পাওয়ায় পাট ঠিকমত বৃদ্ধি হতে পারছে না। এই মুহুর্তে পটের জমিতে পানি খুবই প্রয়োজন। পাটের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করেন তিনি।

কেএসটি