• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ৪, ২০১৯, ০৫:৪৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ৪, ২০১৯, ০৫:৪৯ পিএম

১৫ দিন পর পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে কর্মচাঞ্চল্য

১৫ দিন পর পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে কর্মচাঞ্চল্য
চীনা শ্রমিকদের সাথে কাজ শুরু করেছেন বাঙালি শ্রমিকরা  ছবি : জাগরণ

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নির্মাণাধীন পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে ১৫ দিন পর বাঙালি শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়েছেন। এতে কর্মমুখর হয়ে উঠেছে বিদ্যুৎকেন্দ্র এলাকা। বুধবার (৩ জুলাই) কাজে যোগ দেওয়া ৩০৮ বাঙালি শ্রমিকের সেফটি প্রশিক্ষণ ও পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকাল থেকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে চীনা শ্রমিকদের সাথে তারা কাজ শুরু করেছেন।

বিসিপিসিএল কর্তৃপক্ষ জানায়, বিদ্যুৎকেন্দ্র এলাকায় ১২টি ম্যানপাওয়ার এজেন্সিকে শ্রমিক সরবরাহের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে। নর্থ ইস্ট (নম্বর-১) ইলেকট্রিক পাওয়ার কনস্ট্রাকশন করপোরেশন লিমিটেড (এনইপিসি) কর্তৃপক্ষ পর্যায়ক্রমে আরও এজেন্সিকে শ্রমিক সরবরাহের অনুমতি দেবে। কাজে যোগ দেওয়া শ্রমিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র নিশ্চিত হওয়ার পর তাদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

বিসিপিসিএলের জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার শাহ মনি জিকো জানান, এখন পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র চীনা ও বাঙালি শ্রমিকের পদভারে মুখর। তারা সমন্বিতভাবে বিদ্যুৎ প্লান্টের নির্মাণকাজে নিয়োজিত।

নির্বাহী প্রকৌশলী রেজওয়ান ইকবাল খান বলেন, ‘বাংলাদেশি শ্রমিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করে তা নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হচ্ছে, যাতে কেউ ভুয়া পরিচয়পত্র দিয়ে এখানে কাজ করতে না পারে। এতগুলো শ্রমিকের যাচাই-বাছাই করা যেহেতু একটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার, তাই আমাদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্যে নির্বাচিত কিছুসংখ্যক শ্রমিককে আজ কাজে যোগদান করানো হয়েছে। ৩০৮ জন বাংলাদেশি শ্রমিক আগের মতো সেফটি ড্রিল প্রশিক্ষণ শেষে চীনাদের সাথে একযোগে কাজ শুরু করেছেন।’

গত ১৮ জুন পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের অভ্যন্তরে এক বাঙালি শ্রমিক নিহতের ঘটনায় সৃষ্ট সংঘর্ষে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে এক চীনা প্রকৌশলী মারা যান। এ ঘটনার পর থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রে বাঙালি শ্রমিকদের ১৫ দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়।

এদিকে বিদ্যুৎকেন্দ্রে শ্রমিক সরবরাহকারী ম্যানপাওয়ার এজেন্সির কিছু কর্মকর্তা রোহিঙ্গা শ্রমিকদেরও এখানে কাজের সুযোগ করে দিয়েছিলেন। ব্যক্তি লাভবান হতে তারা এ কাজ করলেও বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে দৃশ্যত কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এমনকি যে দোভাষীরা বিদ্যুৎকেন্দ্রে চীনা ও বাঙালি শ্রমিকদের মধ্যে ভাষা ও তথ্য আদান-প্রদানের কাজ করছেন, তাদের বিরুদ্ধেও কোনো প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। মূলত দোভাষীরা বাঙালি শ্রমিকদের কোণঠাসা করে রাখায় অনেক বাঙালি শ্রমিক সঠিক কাজ কারলেও চীনা শ্রমিক ও প্রকৌশলীদের ভুল তথ্য দেওয়ায় বিদ্যুৎকেন্দ্রের অভ্যন্তরে একাধিক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। বাঙালি শ্রমিকরা নিগৃহীত হলেও ম্যানপাওয়ার এজেন্সির মালিক ও দোভাষীরা তাদের কাজ থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তাদের হয়রানি করেন। শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত হওয়া উচিত।

এ ব্যাপারে প্রকল্প পরিচালক শাহ আবদুল মওলা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা আশা করছি অন্য শ্রমিকরাও খুব দ্রুতই কাজে যোগদান করবেন, তবে শ্রমিকদের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স থাকাটা বাধ্যতামূলক। এ ব্যাপারে প্রশাসন নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।’

এনআই

আরও পড়ুন