• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ৭, ২০১৯, ০৮:৪৮ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ৭, ২০১৯, ০৮:৪৯ এএম

খানাখন্দে ভরপুর রাণীনগর বাইপাস সড়ক

খানাখন্দে ভরপুর রাণীনগর বাইপাস সড়ক

নওগাঁর রাণীনগরের জনগুরুত্বপূর্ণ স্থান বিজয়ের মোড়ের যানজট নিরসনের লক্ষ্যে গত ২০১৬ সালে রাণীনগর রেলগেইট সংলগ্ন মহিলা অনার্স কলেজ মোড় থেকে উপজেলার প্রেসক্লাব মোড় পর্যন্ত একটি বাইপাস (বিকল্প) সড়ক নির্মাণ করা হয়। কিন্তু বর্তমানে এই বাইপাস সড়কটির চরম বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। 

রাস্তাটির মাঝ অংশের মাটি দেবে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে চলাচলের তেমন সমস্যা না হলেও বর্ষা মৌসুমে রাস্তাটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়। রাস্তার কোন কোন অংশের ইট উঠে গিয়ে এই মরণ ফাঁদের সৃষ্টি হয়েছে বলে চলাচলকারী পথচারীদের অভিযোগ। রাস্তাটির সংস্কার করা খুবই প্রয়োজন বলে দাবি স্থানীয়দের। তা না হলে রাস্তায় যে কোন সময় প্রাণঘাতি দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।   

স্থানীয় সংসদ সদস্য ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়াম্যানের উদ্দ্যোগে এই বাইপাস সড়ক নির্মাণ করা হয়। এই বাইপাস সড়ক দিয়ে রাণীনগর উপজেলা থেকে আবাদপুকুরগামী সকল প্রকারের ভারী যানবাহন চলাচল করে যার কারণে উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ বিজয়ের মোড় নামক স্থানে বর্তমান সময়ে তেমন আর যানজটের সৃষ্টি হয় না। এই বাইপাস রাস্তা নির্মাণের পূর্বে বিজয়ের মোড় নামক স্থানে যানজট লেগেই থাকতো। বর্তমানে এই বাইপাস রাস্তাটির বেহাল দশার কারণে অনেক ছোট-বড় যানবাহন এই বিকল্প রাস্তা দিয়ে যেতে ভয় পায়। যার কারণে বিজয়ের মোড় নামক স্থানে পুনরায় নতুন করে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। যানজটের হাত থেকে রাণীনগরবাসীকে রক্ষা করার জন্য এই বাইপাস রাস্তার আধুনিকায়ন করা খুবই জরুরি বলে মনে করছেন সচেতন মহল।

উপজেলার পূর্ববালুভরা গ্রামের মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন আমাদের জন্য এই বাইপাস রাস্তাটি খুবই প্রয়োজনীয়। কিন্তু নির্মাণের কয়েকবছর পার হলেও জনগুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটিতে আধুনিকতার কোন ছোঁয়াই আজ পর্যন্ত লাগেনি। এই রাস্তা দিয়ে মালবাহী টাক্টর, ট্রাক, ভটভটি থেকে শুরু করে ভ্যানগাড়ী চলাচল করে যার কারণে বিজয়ের মোড়ে এখন আর যানজটের কবলে পড়তে হয় না যাত্রী সাধারণদের। 

স্থানীয় ভ্যানগাড়ি চালক আজাদ, রহমানসহ অনেকেই অভিযোগ করে বলেন এইটুক রাস্তার জন্য আমাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভ্যানগাড়ি চালাতে হয়। অনেকবার ভ্যান উল্টে যাত্রীসহ অনেকেরই হাত-পা ভেঙ্গে গেছে। বিশেষ করে চরম বিপদে পড়তে হয় বর্ষা মৌসুমে। তাই আমরা চাই সরকার যেন আগামী বর্ষা মৌসুম আসার আগেই এই রাস্তাটি সংস্কার করে দেবেন।

১নং খট্টেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান পিন্টু বলেন এই রাস্তা সংস্কারের জন্য সকল কাগজপত্রাদি উপজেলা প্রকৌশলী অফিসে জমা দিয়েছি। আশা করছি অল্প কিছুদিনের মধ্যেই কাজ শুরু হবে।উপজেলা প্রকৌশলী শাইদুর রহমান মিঞা বলেন, এই রাস্তার বেহাল দশা সংস্কারের জন্য উপড়মহল বরাবর প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি। আশা করি অল্প সময়ের মধ্যেই বরাদ্দ পাওয়া যাবে। আর বরাদ্দ পেলেই সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে।

কেএসটি