• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ১০, ২০১৯, ০৯:৪৩ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১০, ২০১৯, ১০:০০ এএম

পার্বতীপুরে ঘুষের টাকাসহ দুদকের হাতে মৎস্য কর্মকর্তা গ্রেফতার

পার্বতীপুরে ঘুষের টাকাসহ দুদকের হাতে মৎস্য কর্মকর্তা গ্রেফতার
দুদকের হাতে গ্রেফতার সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা রেজাউল করিম সরকার -ছবি : জাগরণ

দিনাজপুরের পার্বতীপুরে ঘুষ নেয়ার সময় টাকসহ হাতেনাতে দুদকের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা রেজাউল করিম সরকার। গতকাল মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দুপুরে দিনাজপুর দুদকের সহকারী পরিচালক আহসানুল কবির পলাশের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটি টিম অভিযান চালিয়ে উপজেলা মৎস্য অফিস থেকে তাকে গ্রেফতার করে।

দুদক জানায়, পার্বতীপুর উপজেলায় জলাশয় সংস্কারের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় ১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫টি পুকুরের খনন কাজ শেষ হয়েছে। এর মধ্যে ৪০লাখ টাকা ব্যয়ে মন্মথপুর ইউনিয়নের খুনিয়া পুকুর ও বড় উতাল পুকুরের খনন কাজ শেষ করেন একরামুল হক ও দীলিপ চন্দ্র। তাদের ৩০ লাখ টাকার চেক ছাড় করা হলেও অবশিষ্ট ১০ লাখ টাকার চেক ছাড় করা হচ্ছিল না। চেক ছাড় করতে উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা রেজাউল করিম সরকার ৫ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। পুকুর খনন কাজ পরিচালনা কমিটির সদস্য তাজ নগর শেখ পাড়া গ্রামের সবুজ ইসলাম ঘুষের টাকা দিতে মৎস্য অফিসে আসলে দুদকের জালে ধরা পড়েন ওই কর্মকর্তা।

সবুজ ইসলাম জানান, পার্বতীপুরের সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা রেজাউল করিম গভীর জলের মাছ। তিনি ঘুষ ছাড়া কোনো কাজ করতে চান না। পুকুর খননের চেক ছাড়ের জন্য তার কাছে ৫ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। এরইমধ্যে তিনি ৩ লাখ টাকা প্রদান করেছেন। পুকুরে ঘাস, পানি সেচ ও গাছ লাগানোর ১ লাখ ৭০ হাজার টাকাও আমাদের না দিয়ে তার হেফাজতে রেখে ছিলেন। তারপরেও অবশিষ্ট টাকার চেক ছাড় না দেয়ায় তিনি দুদকের হট লাইন ১০৬ নাম্বারে ফোন করে বিষয়টি জানান। মঙ্গলবার দুপুরে তিনি আরও ২০ হাজার টাকা ওই কর্মকর্তার হাতে তুলে দিতে আসেন। এ সময় ওঁৎ পেতে থাকা দুদক কর্মকর্তারা ঘুষের টাকাসহ রেজাউল করিমকে গ্রেফতার করেন।

অভিযান পরিচালনাকারী দুদকের সহকারী পরিচালক আহসানুল কবির পলাশ বলেন, সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা রেজাউল করিমকে ঘুষ নেয়ার সময় ২০ হাজার টাকাসহ গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় তার কাছে আরে ১লাখ ৫২ হাজার টাকা পাওয়া গেছে। হট লাইনে অভিযোগ পেয়ে তারা অভিযানটি পরিচলনা করেন। এ সময় দিনাজপুর দুদকের উপ-পরিচালক আবু হেনা আশিকুর রহমান, উপ সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ জিন্নাতুল ইসলাম, সহকারী পরিদর্শক ওবায়দুর রহমান, শফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্ততি চলছে।

একেএস

আরও পড়ুন