• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ১০, ২০১৯, ০৯:১৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১০, ২০১৯, ০৯:১৬ পিএম

খানাখন্দে ভরপুর সড়ক, যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ

খানাখন্দে ভরপুর সড়ক, যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ
চাটমোহর হাসপাতাল গেট ও বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তোলা  –  ছবি : জাগরণ

পাবনার চাটমোহরের পৌর এলাকায় যাতায়াত করতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন উপজেলাবাসী। কারণ, সব সড়কেই সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় খানাখন্দ। এ অবস্থা দীর্ঘদিন থাকলেও এ নিয়ে মাথাব্যথা নেই পৌর মেয়রের। মেয়র অবশ্য দাবি করছেন, সড়কগুলো মেরামত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, পৌর এলাকায় প্রধান সড়কসহ ছোট-বড় অভ্যন্তরীণ সড়ক রয়েছে ১৮টি। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি সড়কেই পাথর-বিটুমিন উঠে সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দ। ফলে যাতায়াতের সময় অসহ্যকর ঝাঁকুনিতে কাহিল হয়ে পড়ছেন যানবাহনের যাত্রীরা। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন নারী-শিশু- বৃদ্ধরা। দুর্ভোগের মাত্রায় আরও গতি আনে বৃষ্টি। কারণ, সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমে সৃষ্টি হয় জলজোট। তখন দুর্ভোগের সীমা থাকে না। হেঁটে চলতেই পথচারীদের নাভিশ্বাস ওঠে। রিকশা-ভ্যানসহ অন্যান্য বাহনের যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিচ্ছে ঘন ঘন। ফলে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন যানবাহনের চালক-মালিকেরা।যানবাহনের চালকেরা প্রতিনিয়ত পৌর কর্তৃপক্ষের ‘গুষ্ঠি উদ্ধার’ করছেন।

মোটরচালিত ভ্যানের চালক বজলুর রহমান, মহরম হোসেন, মানিক বললেন, প্রতিটি গাড়ির চালকের কাছ থেকে ‘চাঁদা’ আদায় করছে পৌরসভা (কর্তৃপক্ষ)। অথচ সড়ক মেরামত নিয়ে কোনো চিন্তাই নেই মেয়র সাহেবের। অন্য কোনো পৌরসভার সড়ক এত খারাপ নয়। বৃষ্টি হলি (হলে) তো পায়ে হাঁটাই কঠিন। রসিদ দিয়েই চাঁদা আদায় করা হচ্ছে, জানালেন তারা। বললেন, ঘন ঘন ব্রেক করায় আর ঝাঁকুনিতে নাট-বল্টু ঢিলে হচ্ছে। রিং ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এগুলো সারতে (মেরামত) টাকা লাগে না?

চাটমোহর পৌরসভার মেয়র মির্জা রেজাউল করিম দুলাল বললেন, দ্রুতই রাস্তাগুলো সংস্কার ও মেরামতের কাজ করা হবে। ইতোমধ্যে কিছু রাস্তা মেরামত ও সংস্কারের জন্য টেন্ডার দেওয়া হয়েছে।

এনআই

আরও পড়ুন