রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার হলিদাগাছি এলাকায় লাইনচ্যুত তেলবাহী ওয়াগান উদ্ধার হয়নি। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে হরিদাগাছি দিঘলকান্দি এলাকার আউটার সিগন্যালে রাজশাহীগামী তেলবাহী ওয়াগনের ৮টি বগি লাইনচ্যুত হয়।

এ ঘটনায় পশ্চিমাঞ্চল রেলের প্রকৌশল বিভাগের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রশিদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনা তদন্তে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করেছে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে।

এর আগে ঈশ্বরদী থেকে আসা উদ্ধারকারী ট্রেন রাতেই অভিযান শুরু করলেও বৃষ্টির ও আলোক স্বল্পতায় থমকে যায় উদ্ধার কাজ। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সকাল থেকে পুরোদমে উদ্ধার কাজ শুরু হয়। বেলা ১২টার মধ্যে উদ্ধার করা হয় চারটি ওয়াগন।

বিকেল নাগাদ উদ্ধার কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন, পশ্চিমাঞ্চল রেলের জেনারেল ম্যানেজার খোন্দকার শহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, রাতে উদ্ধারকাজ শুরু হলেও বৃষ্টি এবং অন্ধকারের কারণে বেশি দূর অগ্রসর হয়নি। আজ সকাল থেকে জোরেশোরেই উদ্ধার কাজ চলছে। বিকেলের মধ্যেই উদ্ধার কাজ শেষ হবে।

তিনি আরো বলেন, একেকটি ওয়াগনে ৫০ টন করে তেল ছিল। রেললাইন দুর্বল ও পুরনো হওয়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তবে ঘটনা তদন্ত করে দেখা হবে। এ জন্য বিভাগীয় ট্রান্সপোর্ট অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুনকে প্রধান করে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন দেবে ওই কমিটি। এ ঘটনায় এক প্রকৌশলীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে, ট্রেন লাইনচ্যুত হবার পর থেকে রাজশাহী-ঢাকা, রাজশাহী-খুলনা এবং রাজশাহী-পার্বতিপুর রুটে রেল যোগাযোগবন্ধ রয়েছে। রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন থেকে এই তিন রুটের সকল ট্রেনের যাত্রা বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের সুপারিন্টেনডেন্ট আবদুল করিম এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, লাইনচ্যুত ওয়াগন উদ্ধার শেষ করে রেললাইনও মেরামত করা হবে। এই কাজ শেষ হতে কিছুটা সময় লাগবে।

ফলে রাজশাহী থেকে সকালের আন্তঃনগর বনলতা, সাগরদাঁড়ি, সিল্কসিটি, কপোতাক্ষ ও বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। এর আগে রাতে ঢাকাগামী ধুমকেতু এক্সট্রেসের যাত্রা বাতিল করা হয়। পরে যাত্রীদের টিকিট ফেরত নিয়ে টাকা ফেরত দিয়ে দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে সিডিউল বিপর্যয়ে পড়েছে বলে জানান তিনি।