কক্সবাজারের সমুদ্রসৈকতে ভেসে এলো আরও পাঁচ জেলের মৃতদেহ। এ নিয়ে দুই দিনে ট্রলারডুবির ঘটনায় মৃতদেহ উদ্ধারের সংখ্যা ১১ জনে দাঁড়িয়েছে।
কক্সবাজার পুলিশ জানিয়েছে, ঝড়ের কবলে পড়ে মাছ ধরার ট্রলার ডুবে তাদের মৃত্যু হয়। তারা সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে ঝড়ের কবলে পড়ে।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) রাত ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের বিভিন্ন জায়গা থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. ইকবাল হোছাইন জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে হিমছড়ি থেকে একজন, মহেশখালীর হোয়ানক থেকে একজন, রাত ১০টার দিকে কক্সবাজারের সমিতিপাড়া থেকে ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া জেলেদের মধ্যে ছয়জনের পরিচয় মিলেছে। তারা হলেন ভোলার চরফ্যাশনের পূর্ব মাদ্রাসা এলাকার তরিফ মাঝির ছেলে কামাল হোসেন (৩৫), চরফ্যাশনের উত্তর মাদ্রাসা এলাকার নুরু মাঝির ছেলে অলি উল্লাহ (৪০), একই এলাকার ফজু হাওলাদারের ছেলে অজি উল্লাহ (৩৫), মৃত আব্দুল হকের ছেলে মো. মাসুদ (৩৮), শহিদুল ইসলামের ছেলে বাবুল মিয়া (৩০) ও নজিব ইসলামের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম।
অপর ৫ জনের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পরিচয় শনাক্ত হওয়া ছয়জনকে স্বজনের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। পুলিশ জানিয়েছে, ট্রলারের মালিক ভোলার চরফ্যাশন এলাকার ওয়াজ উদ্দিন পিটার। এ ঘটনায় দুজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তারা এখনো কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জীবিত উদ্ধার হওয়া মনির আহমদ মাঝি জানান, গত ৪ জুলাই ভোলার চরফ্যাশনের শামরাজ ঘাট থেকে তারা মাছ ধরার উদ্দেশ্যে সাগরে পাড়ি দেন। মোট ১৪ জন এই ট্রলারে ছিলেন। গত ৬ জুলাই ভোরে হঠাৎ ঝোড়ো হাওয়া ও উত্তাল ঢেউয়ের তোড়ে ট্রলারটি থেকে ছিটকে পড়েন জেলেরা।
এনআই