• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ১২, ২০১৯, ০৮:২৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১২, ২০১৯, ০৮:২৪ পিএম

ধামরাইয়ে যশোমাধবের উল্টো রথযাত্রা উদ্‌যাপিত

ধামরাইয়ে যশোমাধবের উল্টো রথযাত্রা উদ্‌যাপিত
ধামরাইয়ে শ্রীশ্রী যশোমাধব অঙ্গনে উল্টো রথটান  -  ছবি : জাগরণ

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে এশিয়া উপমহাদেশের বিখ্যাত ঐতিহ্যবাহী ধামরাইয়ের শ্রীশ্রী যশোমাধবের উল্টো রথযাত্রা উদ্‌যাপিত হয়েছে। জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে হিন্দু, মুসলিমসহ সকল ধর্মের লাখ লাখ মানুষ সমবেত হন যশোমাধব অঙ্গনে।

শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর উপকণ্ঠে ধামরাইয়ে শ্রীশ্রী যশোমাধব অঙ্গনে উল্টো রথটানের মধ্য দিয়ে রথযাত্রার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়।

এই উৎসব উদ্‌যাপিত হয় প্রতিবছরের আষাঢ় মাসের শুক্লাপক্ষে দ্বিতীয় তিথিতে। সেই তিথি অনুসারে বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বিকেলে রথটানার শুভসূচনা শুরু হয়। ওইদিন হাজার হাজার সনাতন ধর্মাবলম্বী ধামরাইয়ের মাধরবাড়ি থেকে যাত্রাবাড়ি রথকে টেনে নিয়ে আসার মধ্য দিয়ে রথযাত্রার আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন। শাস্ত্রমতে প্রথম রথের ৯ দিন পরে উল্টো রথযাত্রা শুক্রবার যাত্রাবাড়ি থেকে আবার মাধববাড়িতে রথ টেনে নিয়ে আসার মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হয়। এ সময় লাখ লাখ পুণ্যার্থী রথটানে কলা চিনি দিয়ে বরণ করে নেন।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধারণা, রথটানার মধ্য দিয়ে পূর্ণতা লাভ করা যায়। সনাতন ধর্মমতে, জগন্নাথ বিশ্ব প্রতিপালন বিষ্ণু অবতার এবং হলধারী বলরাম তার জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা ও শুভ্রদা তাদের ভগ্নি। রথ টানা হয় এই ত্রিমূর্তিকে নিয়ে।

নিত্যানন্দ ঘোষ নামের এক পুণ্যার্থী দৈনিক জাগরণকে বলেন, ‘রথটানের মধ্য দিয়ে পুণ্যতা লাভ এবং দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করা হয়। তাই রথ টানতে এসেছি।’

অন্যদিকে মানিকগঞ্জের রবি দাস বলেন, ‘এটি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের একটি পাবণ। তাই প্রতিবছরের মতো এবারও পরিবারের সবাই একসাথে এসেছি।’

এভাবেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কয়েক লাখ পুণ্যার্থী এসে জড়ো হন যশোমাধবের অঙ্গনে।

এনআই

আরও পড়ুন