• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ১৬, ২০১৯, ০৮:২৬ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১৬, ২০১৯, ০৮:২৬ এএম

ভালুকায় যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে পেট্রোল ও গ্যাসের সিলিন্ডার

ভালুকায় যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে পেট্রোল ও গ্যাসের সিলিন্ডার

ভালুকায় নীতিমালা লঙ্ঘন করে উপজেলায় যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম (এলপি) গ্যাসের সিলিন্ডার ও পেট্রোল। অনুমোদিত পেট্রোল পাম্প ছাড়া পেট্রোল জাতীয় দাহ্য পদার্থ বিক্রির বিধান নেই। কিন্তু তা উপেক্ষা করে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মোড়ে মোড়ে এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের পাশাপাশি জারিকেন ও বোতলে পেট্রোলসহ দাহ্য পদার্থ বিক্রি হচ্ছে। ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের আশঙ্কা যেকোনো সময় বিস্ফোরণ ও দাহ্য পদার্থ থেকে আগুনে প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে।

বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পৌর এলাকার পাঁচ রাস্তার মোড়, উপজেলার সিডস্টোর বাজার, নায়েবের বাজার, স্কয়ার মাষ্টারবাড়ি এলাকায় ওষুধের ফার্মেসি, হোটেলে, মুদির দোকান, ক্রোকারিজের দোকান, ফলের দোকান কাশর ডুবালিয়াপাড়া ওষুধের ফার্মেসি, মুদির দোকান প্রভৃতি রকমারী দোকানে পেট্রোল ও এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার বিক্রি করার জন্য রাখা হয়েছে।

এ ছাড়া উপজেলার ভরাডোবা ইউনিয়নের ভরাডোবা বাসস্ট্যান্ড, মেদুয়ারী ইউনিয়নের বাতসাতরা মোড়, নিঝুরী বাজার, বগাজান বাজার, উথুরা ইউনিয়নের নারাঙ্গী চৌরাস্তা মোড়, উথুরা বাজার প্রভৃতি এলাকায় মুদি ও রকমারি দোকানে পেট্রোলের পাশাপাশি দাহ্য পদার্থ বিক্রি করা হচ্ছে।

ভালুকা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান বলেন, গ্যাসের সিলিন্ডারের ব্যবসা করলে অবশ্যই তাকে লাইসেন্স নিতে হবে। নীতিমালা মেনে ব্যবসা করতে হবে। সড়কের ধারে সাজিয়ে রেখে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করা খুবই বিপজ্জনক। কোমল পানীয়র বোতলে ভরে পেট্রোল বিক্রি করা হচ্ছে। এসব দোকানের পেট্রোল ক্রেতাকে অনেক দোকানি চেনেন না বা জানেন না। এটি খুবই বিপজ্জনক। দুষ্কৃতিকারীদের হাতে পেট্রোল চলে যেতে পারে। এ ছাড়া যত্রতত্র পেট্রোল বা দাহ্য পদার্থ বিক্রির কারণে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডসহ প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে।

জানতে চাইলে ভালুকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ কামাল জানান, দাহ্য পদার্থ বিক্রির সুনির্দিষ্ট বিধিমালা আছে। যত্রতত্র বিক্রির কোনো সুযোগ নেই। এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কেএসটি