• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: জুলাই ১৭, ২০১৯, ০১:১৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১৭, ২০১৯, ০১:৩০ পিএম

নুসরাত হত্যা মামলায় ৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে

নুসরাত হত্যা মামলায় ৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে

ফেনীর মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা মামলায় ১৬ আসামির মধ্যে ৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে।

আজ বুধবার (১৭ জুলাই) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে এই সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে আজ সকাল সাড়ে ১১টায় আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়।

এরা হলেন- সোনাগাজী মাদ্রাসার বাংলা বিভাগের প্রভাষক খুজিস্তা খানম, মাদ্রাসার আয়া বেবী রাণী দাস, সহপাঠী আকলিমা আক্তার ও কায়সার মাহমুদ।

এ মামলার ৯২ জন সাক্ষীর মধ্যে এখন পর্যন্ত ২১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। গত ২৭ জুন থেকে এ মামলার সাক্ষ্য কার্যক্রম শুরু হয়। শুরুর পর থেকে প্রতি কর্মদিবসে আদালত সাক্ষ্যগ্রহণ চালিয়ে যাচ্ছেন।

 

এর আগে, গত ২৭ জুন মামলার বাদী ও প্রথম সাক্ষী নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমানের সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। পরে নুসরাতের বান্ধবী নিশাত সুলতানা ও সহপাঠি নাসরিন সুলতানা, মাদ্রাসার পিয়ন নুরুল আমিন, নৈশ প্রহরী মো. মোস্তফা, কেরোসিন বিক্রেতা লোকমান হোসেন লিটন, বোরকার দোকানদার জসিম উদ্দিন, দোকানের কর্মচারী হেলাল উদ্দিন ফরহাদ, নুসরাতের ছোট ভাই রাশেদুল হাসান রায়হান, জহিরুল ইসলাম, হল পরিদর্শক বেলায়েত হোসেন, নুসরাতের মা শিরিন আখতার ও শিক্ষক আবুল খায়ের, মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটি সাবেক সদস্য শেখ আবদুল হালিম মামুন ও সোনাগাজী মাদ্রাসার দপ্তরী মো. ইউসুফ, সোনাগাজী মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. হোসাইন, সোনাগাজী পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ইয়াছিন ও অ্যাম্বুলেন্স চালক নুরুল করিম, সোনাগাজী ফাজিল মাদ্রাসার পরীক্ষার কেন্দ্র সচিব মাওলানা নুরুল আফসার ফারুকী, সোনাগাজী মাদ্রাসার ছাত্রী তানজিনা বেগম সাথী ও মাদ্রাসা ছাত্রী বিবি জাহেদা বেগম তামান্নার সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়। 

উল্লেখ্য, ২৭ মার্চ সকালে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদদৌলা ওই মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে যৌন হয়রানির চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় নুসরাতের মা সোনাগাজী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। এ ঘটনায় ২৭ মার্চ মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদদৌলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর জের ধরে গত ৬ এপ্রিল ওই মাদ্রাসা কেন্দ্রের সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে নিয়ে অধ্যক্ষের সহযোগীরা নুসরাতের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। টানা ৫ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে ১০ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টায় মারা যান নুসরাত।

একেএস

আরও পড়ুন