• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৭, ২০১৮, ১১:৪৩ এএম

ঠাকুরগাঁওয়ে জাঁকিয়ে বসেছে শীত

ঠাকুরগাঁওয়ে জাঁকিয়ে বসেছে শীত

 

দেশের সর্ব উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে শীত পড়তে শুরু করেছে।  সকাল ১০টা পর্যন্ত কুয়াশায় ঢাকা থাকে চারদিক। গত কয়েকদিন ধরে সন্ধ্যা নামতে না-নামতেই শুরু হয় ঘন কুয়াশা। রাতভর টুপটাপ শব্দে বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা। হিমেল হাওয়ায় নাকাল হয়ে পড়ছে জনজীবন।

শুক্রবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত মহাসড়কে যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে দেখা গেছে।  রাত ৮টার মধ্যেই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে গ্রামের হাট-বাজার। প্রয়োজন ছাড়া মানুষ বাড়ির বাইরে যাচ্ছেন না। শীতে কাজ করতে অসুবিধা হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।

ঠাকুরগাঁওয়ে কোনও আবহাওয়া অফিস না থাকলেও স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে।

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ড. কেএম কামরুজ্জামান সেলিম বলেন, জেলার শীতার্ত মানুষের সাহাযার্থে জরুরি কম্বলের চাহিদা পাঠানো হয়েছে। জেলা প্রশাসন এরইমধ্যে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার কম্বল ৫টি উপজেলায় বিতরণের জন্য পাঠিয়েছে। এছাড়াও ব্যক্তিগত তহবিল থেকে কিছু লেপ তৈরি করা হয়েছে। যারা একেবারে অসহায় তাদের লেপ ও আর্থিক কিছু নগদ অর্থ দিয়ে সহায়তা করার উদ্যোগও নেয়া হয়েছে।’

শীত নিবারণের জন্য গরম কাপড় কিনতে দোকানে ভিড় করছেন অনেকেই। গরম কাপড়ের চাহিদার কারণে ফুটপাতে, বড়মাঠের পাশে হকার্স মার্কেটে, পুরনো জ্যাকেট-সোয়েটারের দোকানে নিম্নবিত্তের পাশাপাশি উচ্চবিত্তরাও ভিড় করছেন।

বড়মাঠের পাশে শীতবস্ত্র বিক্রেতা আব্দুল খালেক বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ে শীতের তীব্রতা একটু একটু করে বাড়ছে।  শীতবস্ত্রের কেনাকাটাও শুরু হয়ে গেছে। ক্রেতাদের চাহিদার কথা ভেবে জ্যাকেট, মাফলার, সোয়েটার, হাত মোজা, কোট, টুপি সবই মিলছে এসব দোকানে।  দামে সস্তা হওয়ায় নিম্নবিত্ত ক্রেতাদের কাছে এই কাপড়ের চাহিদা বেশি।

সাইসে/এফসি