• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: জুলাই ১৭, ২০১৯, ০৭:৪০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১৭, ২০১৯, ০৭:৪০ পিএম

‘দেশ মাছ উৎপাদনে স্বয়ং সম্পূর্ণতা অর্জন করেছে’

‘দেশ মাছ উৎপাদনে স্বয়ং সম্পূর্ণতা অর্জন করেছে’
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু- ছবি: জাগরণ

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু দাবি করেছেন, স্বাধীনতার ৪৬ বছরের মধ্যে বর্তমান সরকারের আমলেই প্রথম বাংলাদেশ মাছ উৎপাদনে স্বয়ং সম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। তিনি বলেন, বর্তমানে বিশ্বে মাছের উৎপাদনে বাংলাদেশ ইলিশে প্রথম, মুক্তজলাশয়ের আহরণে তৃতীয়, তেলাপিয়ায় চতুর্থ এবং বদ্ধজলাশয়ে চাষকৃত মাছে ৫ম স্থানের অধিকারী।

বুধবার (১৭ জুলাই) ২৭তম ‘জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০১৯’ এর প্রথমদিনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। ‘জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০১৯’ আজ থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত দেশব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে। 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, খাদ্য ও মাংসের পাশাপাশি ২০১৭-১৮ অর্থবছরে প্রথমবার মাছের উৎপাদনেও দেশ স্বয়ং সম্পূর্ণতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এমনকি দুষ্প্রাপ্য প্রায় ইলিশের উৎপাদনেও এ সরকার রেকর্ডভঙ্গ করেছে বলে তিনি দাবি করেন। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ২ লাখ ৯৯ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ উৎপাদিত হলেও ২০১৮-১৯ অর্থবছরে তা এসে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ১৭ হাজার টনে।  

তিনি আরো বলেন, ইলিশসম্পদের স্থায়িত্বশীল উন্নয়নে জেলেদের সঞ্চয়ী করার পাশাপাশি তাদের আপদকালীন জীবিকানির্বাহের লক্ষে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সাড়ে ৩ কোটি টাকার একটি ‘ইলিশ উন্নয়ন ও সংরক্ষণ তহবিল’ গঠন করা হয়েছে।

‘সরকার সমুদ্র সম্পদকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে নিজস্ব গবেষণা ও জরিপ জাহাজ আরভি মীন সন্ধানীর মাধ্যমে জরিপ চালিয়ে ৪৩০টি প্রজাতির মৎস্যসম্পদের সন্ধান পেয়েছে। এরমধ্যে ৩৬০ প্রজাতির মাছ, ৩৩ প্রজাতির চিংড়ি, ২১ প্রজাতির কাঁকড়া এবং ১২ প্রজাতির মোলাস্কা রয়েছে। গভীর সমুদ্রে মৎস্য আহরণের জন্য ১০টি লং লাইনার এবং ৭টি পার্স সেইনার ফিশিং লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদের মজুদ ও জীববৈচিত্র্যকে অধিকতর সমৃদ্ধ করতে সরকার গত ২৬ জুন নোয়াখালী জেলার হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপ সংলগ্ন ৩ হাজার ১ শত ৮৮ বর্গকিলোমিটার সমুদ্র এলাকাকে প্রথমবার ‘সামুদ্রিক সংরক্ষিত এলাকা (গচঅ)’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। 

দেশিয় পাবদা, গুলশা, টেঙরা, মহাশোলসহ বিলুপ্তপ্রায় ২০টি প্রজাতির মাছ সংরক্ষণে মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে সরকার কৃত্রিম প্রজনন ও চাষাবাদ কৌশল উদ্ভাবন করায় এসব মাছের প্রাপ্যতা বাজারে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বিলুপ্ত প্রায় সকল মাছ পুনরুদ্ধারেও গবেষণা জোরদার করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। 

এদিকে, সংবাদ সম্মেলনের আগে প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি বর্নাঢ্য শোভাযাত্রা মৎস্যভবন থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।  

মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান দিলদার আহমদ, সমত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুবোল বোস মনি, মৎস্য অধিদফতরের ডিজি আবু সাইদ মো. রাশেদুল হক, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ডিজি ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ প্রমুখ।


টিএস/টিএফ