• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ১৮, ২০১৯, ০৩:৪৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১৮, ২০১৯, ০৩:৪৫ পিএম

শেরপুর-জামালপুর মহাসড়কে হাঁটুপানি

শেরপুর-জামালপুর মহাসড়কে হাঁটুপানি
শেরপুর-জামালপুর মহাসড়কে হাঁটুপানিতে ঝুঁকি নিয়ে মানুষ ও যানবাহনের চলাচল -  ছবি : জাগরণ

পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদে পানি বৃদ্ধির ফলে শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পুরাতন ভাঙন অংশ দিয়ে বন্যার পানি দ্রুতবেগে প্রবেশ করায় চরাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি শেরপুর ফেরিঘাট পয়েন্টে ১ মিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমা ছুইঁ-ছুঁই করছে। এতে শেরপুর-জামালপুর মহাসড়কের পোড়ার দোকান কজওয়ের (ডাইভারশন) ওপর দিয়ে প্রবল বেগে বন্যার পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এই সড়কে হাঁটুপানিতে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করলেও যেকোনো সময় শেরপুর থেকে জামালপুর হয়ে রাজধানী ঢাকা ও উত্তরাঞ্চলের সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হতে পারে।

স্থানীয় লোকজন বলছেন, হঠাৎ করে গত রাত থেকে এই ডাইভারশনে পানি এসেছে। এতে আতঙ্কে আছেন তারা। যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ হয়ে যেতে পারে শেরপুর-জামালপুর মহাসড়কে যানবাহন চলাচল।

রহমত আলী, মজিবর রহমান, খলিলুর রহমানসহ অনেকে বলেন, রাতে পানি এসেছে। কিন্তু সকাল থেকে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রবল বেগে বন্যার পানি যাচ্ছে। আমাদের বাড়ি আশপাশে হওয়ায় আমরা খুব আতঙ্কে আছি।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘শুনলাম গত রাত থেকে পানি ডাইভারশন দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রস্তুত রয়েছে।

এদিকে অবিরাম বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের ৫ উপজেলার ৩৫টি ইউনিয়নের ২ শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি রয়েছে লক্ষাধিক মানুষ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ৫২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। গত ৫ দিনে বন্যার পানিতে ডুবে ৬ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

এনআই

আরও পড়ুন