• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ১৮, ২০১৯, ০৬:৩৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১৮, ২০১৯, ০৬:৩৯ পিএম

১২ দিন পর কবর থেকে স্কুলছাত্রীর লাশ উত্তোলন

১২ দিন পর কবর থেকে স্কুলছাত্রীর লাশ উত্তোলন
কবর থেকে স্কুলছাত্রী তাসলিমার লাশ তুলে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে  -  ছবি : জাগরণ

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় স্কুলছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যুর ১২ দিন পর কবর থেকে তার লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) স্কুলছাত্রী কুলসুমা আক্তার তাসলিমার লাশ তোলা হয়।

গত ৫ জুলাই কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল ইউনিয়নের মহলাল (রফিনগর) গ্রামের জহুর উদ্দিনের মেয়ে কুলসুমা আক্তার তাসলিমার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে তাকে দাফন করে পরিবার। সে কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। কিন্তু স্থানীয়রা তাসলিমার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি বলে এলাকায় গুঞ্জন এবং জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমে দাফনের তিন দিন পর রহস্যজনক মৃত্যুর সংবাদ প্রকাশিত হয়। বিষয়টি নজরে নিয়ে কুলাউড়া থানার পুলিশ তদন্ত করে মৃত্যুর বিষয়টি সন্দেহজনক হওয়ায় গত ১২ জুলাই লাশ উত্তোলনের অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন করে।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) আদালতের নির্দেশে মৌলভীবাজার সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নেছার উদ্দিনের উপস্থিতিতে লাশটি উত্তোলন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ইয়ারদৌস হাসান, ওসি (তদন্ত) সঞ্জয় চক্রবর্তী প্রমুখ।

লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। লাশ উত্তোলন করে মর্গে পাঠানোর সত্যতা নিশ্চিত করেন কুলাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) সঞ্জয় চক্রবর্তী।

উল্লেখ্য, নও-মুসলিম আব্দুল আজিজ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন তাসলিমাকে বিয়ে করার জন্য। আজিজ জানান, দুই বছর পূর্ব থেকে তাসলিমার সাথে তার প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি তাসলিমার পরিবারের লোকজনও জানতেন। তাসলিমার মায়ের মৃত্যুর পর আর বাড়িতে গিয়ে তাসলিমার সাথে দেখা করা হয়ে ওঠেনি। বাধা হয়ে দাঁড়ান তাসলিমার বাবা জহুর উদ্দিন। এদিকে নও-মুসলিম আজিজ (পূর্বের নাম লিটন দাস) বরমচাল ইউনিয়নের চন্দ্রখলায় নিজের পিতৃপরিচয়, বংশ, জাত-বর্ণ ত্যাগ করে থাকতেন বরমচাল কালামিয়ার বাজারে। সেখানে দেখা করতে আসাই কাল হয় তাসলিমার।

গত ৪ জুলাই সকালে বরমচাল কালামিয়ার বাজারে আজিজের সাথে দেখা করতে আসে তাসলিমা। কিন্তু সেখানে বাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয় গ্রাম পুলিশ কয়ছর মিয়াসহ তাসলিমাকে উদ্ধার করে বাড়িতে দিয়ে আসেন। এই বাড়ি ফেরাই ছিল তার শেষ বাড়ি ফেরা। ওইদিন বিকালে হঠাৎ অসুস্থতার কথা বলে সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে তাসলিমাকে নিয়ে সিলেটের উদ্দেশে রওনা দেয় তার পরিবার। রাতে অ্যাম্বুলেন্সে করে তাসলিমার লাশ নিয়ে ফিরে আসে তারা।

পরিবার জানায়, স্ট্রোক করে তাসলিমার মৃত্যু হয়েছে। পরদিন ৫ জুলাই বেলা ১১টার দিকে তড়িঘড়ি করে তাসলিমাকে দাফন করা হয়। তবে প্রতিবেশীদের মধ্যে যারা তাসলিমার লাশ দেখেছেন, তারা বলেছেন তাসলিমার গালে ও গলায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। তারই সূত্র ধরে লাশটি কবর থেকে তোলা হলো।

এনআই

আরও পড়ুন