নেত্রকোনা জেলা শহরের নিউটাউনে শিশুর গলাকাটা মাথা বস্তায় করে নিয়ে যাওয়ার সময় গণপিটুনিতে নিহত যুবকের পরিচয় পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) দুপুরে গণপিটুনিতে নিহত হওয়ার পর বিকেলেই তার পরিচয় মিলেছে। নিহত যুবক হলেন কাটলী এলাকার এখলাছ উদ্দিনের ছেলে রবিন (২৭)। তিনি পেশায় রিকশাচালক ও মাদকাসক্ত ছিলেন। শিশুটির সঙ্গে তার কী সম্পর্ক, তা এখনো জানা যায়নি।

এদিকে বৃহস্পতিবার বিকেলে পৌর শহরের কাটলী এলাকার নির্মাণাধীন একটি তিন তলা ভবনের ওপর থেকে শিশুর দেহটিও উদ্ধার করেছে নেত্রকোনা মডেল থানার পুলিশ।

শিশুটি নেত্রকোনা সদরের আমতলা গ্রামের রিকশাচালক রইছ উদ্দিনের ছেলে সজীব মিয়া (৮)। রইছ উদ্দিন তার পরিবার নিয়ে নেত্রকোনা পৌর শহরের কাটলী এলাকার হিরণ মিয়ার বাসায় ভাড়া থাকেন।

নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তাজুল ইসলাম জানান, নেত্রকোনা পৌর শহরের পাটপট্টি ব্রিজ-সংলগ্ন কাটলী এলাকার কায়কোবাদ খানের নির্মাণাধীন তিন তলা ভবনের ওপর থেকে রক্ত পড়তে দেখে স্থানীয়রা এখানে ওই দেহটির খোঁজ পায়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে তা উদ্ধার করে। পুলিশের ধারণা, কাগজ কাটার কাটার দিয়ে শিশুটির গলা কাটা হয়েছে।

ওসি আরো জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে পৌর শহরের নিউটাউন অনন্ত পুকুরের উত্তরপাড় এলাকায় বস্তায় করে একটি কাটা মাথা নিয়ে যাচ্ছিলেন রবিন। এ সময় তাকে এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়। পরে বস্তা খুলে দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন এক শিশুর মাথা পাওয়া যায়। এ সময় জনতার গণপিটুনিতে ঘটনাস্থলেই মারা যান রবিন। মারা যাওয়ার সময় তার পরিচয় পাওয়া না গেলেও বিকেলে তা পাওয়া গেছে।

রবিন ও শিশু সজীবের মরদেহ নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। হত্যার রহস্য এখনো উদঘাটন হয়নি বলেও জানান ওসি।

এনআই