• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ১৯, ২০১৯, ০২:৪৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১৯, ২০১৯, ০৩:১৭ পিএম

গলাকেটে শিশু হত্যার ঘটনায় দুই মামলা

গলাকেটে শিশু হত্যার ঘটনায় দুই মামলা
নেত্রকোনায় শিশু হত্যার ঘটনায় প্রেস ব্রিফিংয়ে বক্ত রাখছেন পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী- ছবি : জাগরণ

নেত্রকোনা জেলা শহরে প্রকাশ্য দিবালোকে শিশু সজিবের গলাকাটা মস্তক নিয়ে ঘুরে বেড়ানো এবং গণপিটুনিতে শিশু হত্যাকারী যুবক রবিন নিহত হওয়ার ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। 
সজিবকে নৃশংসভাবে গলাকেটে হত্যার ঘটনায় শিশু সজিবের পিতা রইস উদ্দিন বাদি হয়ে রবিনের নাম উল্লেখ পূর্বক অজ্ঞাত ব্যক্তিদেরকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। গণপিটুনিতে শিশু হত্যাকারী রবিন নিহত হওয়ার ঘটনায় নেত্রকোনা মডেল থানার এএসআই রফিক বাদি হয়ে অজ্ঞাত সংখ্যক ব্যক্তিকে আসামি করে অপর মামলাটি দায়ের করেন।

এ উপলক্ষ্যে নেত্রকোনা জেলা পুলিশ শুক্রবার বেলা ১১টায় পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিং-এর আয়োজন করে। প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সাংবাদিকরা ঘটনার বাস্তবচিত্র তুলে ধরলেও উক্ত হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কতিপয় লোক ছেলে ধরা ও পদ্মা সেতুতে ছেলে শিশুদের মাথা দেয়ার কথা বলে যে গুজব ছড়াচ্ছে, তা আদৌ সত্য নয়, নিতান্তই অসত্য ও বিভ্রান্তিমূলক।  তিনি সাংবাদিকদের মাধ্যমে এ ধরনের গুজব না ছড়ানোর জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানান। পাশাপাশি সকল অভিভাবকদেরকে আতঙ্কিত না হওয়ারও পরামর্শ প্রদান করেন। তবে প্রেস ব্রিফিংয়ে কি কারণে এ নৃশংস হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়েছে তা এখন বলতে পারেননি তিনি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। শীঘ্রই হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য উদঘাটিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।   
 উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রবিন শিশু সজিবকে হত্যা করে তার মস্তক (মুন্ডু) নিয়ে জেলা শহরের বারহাট্টা রোডস্থ শ্রমিক ইউনিয়নের সামনে মেথর পট্টিতে মদ পান করে মাতলামি করার সময় তার ব্যাগ থেকে শিশুর গলাকাটা মস্তক মাটিতে পড়ে যায়। তা দেখে উত্তেজিত জনতা তাকে ধাওয়া করে নিউটাউনপঁচা পুকুর (অনন্ত পুকুর) পাড়ে গণপিটুনি দিয়ে মেরে ফেলে।

কেএসটি

আরও পড়ুন