• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: জুলাই ১৯, ২০১৯, ০৫:২৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১৯, ২০১৯, ০৫:২৭ পিএম

বেড়েছে সাপের উপদ্রব, মিলছে না অ্যান্টিভেনম

বেড়েছে সাপের উপদ্রব, মিলছে না অ্যান্টিভেনম

বন্যা কবলিত এলাকা সাপের উপদ্রব বেড়েছে। সেই সঙ্গে জেলা হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে সাপে কাটা রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। চিকিৎসায় দেখা দিয়েছে অ্যান্টিভেনমের তীব্র সঙ্কট। 

ন্যাশনাল হেলথ ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেন্টারের দেয়া তথ্যমতে,  বন্যা কবলিত ১৭ জেলায় ১২ থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত সারাদেশে সাপে কাটার ঘটনা ঘটেছে ৪৭ জনের। এর মধ্যে মারা গেছে ৯ জন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, এই তথ্য সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে সরবরাহকৃত। প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪ জন, মিটফোর্ড হাসপাতালে ৬ জন, বিএসএমএমইউ হাসপাতালে ৩ জন, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩ জন সাপে কাটা রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। সাপে কাটা এসব রোগীরা কেরানীগঞ্জ, বসিলা, পল্লবী, মেরাদিয়া, আমিনবাজার হেমায়েতপুর থেকে এসেছেন।

টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ জেলার সিভিল সার্জন জানান, বন্যা শুরু হওয়ার পর সাপে কেটেছে ১১ জনকে। তার মধ্যে মারা গেছেন পাঁচজন। বন্যা কবলিত গাইবান্ধা, পলাশবাড়ী, যশোরের অভয়নগর ও মনিরামপুরে গত এক মাসে সাপের কামড়ে ৫ জন মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

সাপে কাটা ও জনস্বাস্থ্যে এর প্রভাব নিয়ে গবেষণা করেছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ এম এ ফয়েজ। তিনি বলেন, বছরে প্রায় সাত লাখ মানুষ সাপের কামড়ের শিকার হয়। বিষধর সাপের কামড়ের হার ২০ শতাংশ। বর্ষা ও বন্যার সময় সাপের উপদ্রব বাড়ে এবং মানুষের বেশি মৃত্যু ঘটে এই সময়কালে। 

দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে সাপে কামড়ানো রোগীর চিকিৎসার ওষুধ বা ভ্যাকসিন (অ্যান্টিভেনম) সঙ্কট রয়েছে। কেন্দ্রীয় ওষুধ ভাণ্ডারেও মজুত নেই বললেই চলে। যা আছে, তাও মেয়াদোত্তীর্ণ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মে থেকে সেপ্টেম্বর এই ৫ মাস সাপে কাটার ঘটনা ঘটে বেশি। এ সময়কালে সরকারি হাসপাতালগুলোতে ওষুধ বা ভ্যাকসিন সঙ্কট থাকাটা দুঃখজনক।

সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, দেশের একটি কোম্পানির ওষুধ বাজারে আছে। তবে ওই ওষুধ দোকানে পাওয়া যায় না, শুধু তাদের ডিপোতে পাওয়া যায়।

সাপে কাটা ওষুধ সঙ্কটের বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দিন বলেন, অল্প কিছুদিন হলো অ্যান্টিভেনম সঙ্কট হয়েছে। ওষুধের জন্য সিএমএসডিতে (কেন্দ্রীয় ওষুধাগার) যোগাযোগ করা হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে এর সমাধান হয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি। 

ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর বলছে, দেশের একটি কোম্পানি অ্যান্টিভেনম তৈরি করছে। তবে ওই ওষুধ দোকানে বিক্রি হয় না। ওই কোম্পানির ২০টি ডিপোতে এই ওষুধ পাওয়া যায়। একটি ভায়ালের দাম এক হাজার টাকা।

চিকিৎসকরা বলেছেন, সাপে কাটা একজন রোগীর ১০টি ভায়ালের প্রয়োজন হয়। এ বিষয়ে সদ্যবিদায়ী ওষুধ প্রশাসনের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সম্প্রতি এ অ্যান্টিভেনমের মজুত শেষ হয়েছে। সংক্রামক ব্যাধি কর্মসূচির আওতায় নতুন ওষুধ কেনার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।

এইচএম/এসএমএম

আরও পড়ুন