• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ২০, ২০১৯, ০৮:৫০ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২০, ২০১৯, ০৯:০১ এএম

নওগাঁয় চাষ হচ্ছে বারোমাসি তরমুজ ব্লাক কুইন

নওগাঁয় চাষ হচ্ছে বারোমাসি তরমুজ ব্লাক কুইন
নওগাঁ জেলায় প্রথম চাষ হচ্ছে ব্লাক কুইন নামে ১২ মাসের তরমুজ -ছবি : জাগরণ

নওগাঁ জেলায় এই প্রথম মাচায় ব্লাক কুইন জাতের বারোমাসি তরমুজ চাষ করছে কৃষি ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আল আমিন এগ্রো। স্বাদ ও রং উৎকৃষ্ট মানের হওয়ায় বর্তমানে এর প্রচুর চাহিদাও রয়েছে। বাজারে এখন সারা বছরই মিলবে এখানকার ব্লাক তরমুজ। 

কৃষি বিভাগ বলছে, নওগাঁ খরা ও বরেন্দ্র জেলা হওয়ায় পানি সাশ্রয়ের জন্য এ অঞ্চলে ব্লাক তরমুজ চাষ শুরু করা হয়েছে। এটি জেলায় প্রথম নতুন জাতের তরমুজের চাষ। এতে সফল হয়েছে আল আমিন এগ্রো।

জানা গেছে, নওগাঁ শহরের কোমাইগাড়ী এলাকার জেলখানার পূর্ব দেয়াল ঘেঁষে ২ বিঘা জমি ৩ বছরের জন্য লিজ নিয়ে প্রথমবারের মতো বারোমাসি হাইব্রিড ব্লাক কুইন জাতের তরমুজ চাষ করেছে কৃষি ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান গাজিপুরের আল আমিন এগ্রো। তারা ভারত থেকে বীজ এনে চলতি বছর ২ বিঘা জমি ৩ বছরের জন্য ৪৫ হাজার টাকায় লিজ নেয়। পরে ওই জমিতে মাচা তৈরি করে এপ্রিল মাস সেখানে ব্লাক কুইন নামে বারোমাসি তরমুজের চারা রোপন করা হয়। রোপনের পর চলতি মাসেই প্রথম তরমুজ তোলা হয়। প্রতিটি তরমুজের ওজন আড়াই থেকে চার কেজি। তরমুজের বাহির অংশ কালো হলেও ভেতরটা লাল ও মিষ্টি। প্রথমবার প্রায় দেড়শ মন তরমুজ উৎপাদিত হয়। 

তরমুজ কিনতে আসা বেশ কয়েকজন বলেন, এখানকার তরমুজ খুবই স্বুসাদু ও মিষ্টি তাই তারা তরমুজ কিনছেন। আবার অনেকেই আছেন যারা একবার কিনেছেন ভালো লেগেছে বিধায় আবারও এসেছেন। এখানে প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা কেজি দরে। তবে বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে।

আল আমিন এগ্রোর ম্যানেজার আজিজুর রহমান বলেন, চারা কেনা, পরিচর্যা, মাচা তৈরী, কর্মচারীদের বেতনসহ মোট খরচ হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে জমি থেকে ২ মাসে তরমুজ চাষ করে প্রায় ৩ লাখ টাকা লাভ করা সম্ভব। এতে করে অনেক কৃষকরা লাভবান হবেন। পাশাপাশি কিছু বেকারদের কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে। আমাদের এখানে অনেক শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে। আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য এই ফসলকে ধীরে ধীরে দেশের সবখানে ছড়িয়ে দেয়া। আর সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অতিরিক্ত উপ-পরিচালক আহসান শহীদ সরকার বলেন, এ জেলা খরা ও বরেন্দ্র জেলা হওয়ায় পানি সাশ্রয়ের জন্য এই তরমুজ চাষ শুরু করা হয়েছে। বারোমাসি হাইব্রিড ব্লাক কুইন জাতের তরমুজ চাষ অত্যন্ত লাভজনক। এক্ষেত্রে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সব রকমের সহযোগিতা প্রদান করা হয়েছে। এই নতুন জাতের তরমুজ জেলায় প্রথম চাষ শুরু করেছেন আল আমিন এগ্রো।

একেএস

আরও পড়ুন