• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: জুলাই ২০, ২০১৯, ১২:০৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২০, ২০১৯, ১২:০৬ পিএম

লঞ্চের স্টাফ কেবিন থেকে গার্মেন্টস কর্মীর লাশ উদ্ধার

লঞ্চের স্টাফ কেবিন থেকে গার্মেন্টস কর্মীর লাশ উদ্ধার

বরিশাল-ঢাকা নৌ রুটের এমভি সুরভী-৮ লঞ্চের মাস্টার কেবিন থেকে আখি আক্তার (২৯) নামের এক গার্মেন্টস কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে সঙ্গে থাকা এক লোক তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে পালিয়ে গেছে।

শনিবার (২০ জুলাই) সকালে বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। এর আগে সকাল ৮টায় লঞ্চের স্টাফরা কেবিন পরিদর্শনে গিয়ে নারীর লাশ দেখতে পান।

এদিকে, খবর পেয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোয়াজ্জেম হোসাইন ভূঁঞাসহ থানা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

পরে সুরতহাল শেষে ময়না তদন্তের জন্য মৃতদেহ শেবাচিম হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন। নিহত গার্মেন্টস কর্মী আখি বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার পাদ্রিশিবপুর ইউনিয়নের বড়পুইয়াউটা গ্রামের বজলু বেপারির মেয়ে এবং নারায়ণগঞ্জের আদমজী ইপিজেড এ এপার্লস লিমিটেড এর অপারেটর পদে কর্মরত ছিল।

সুরভী-৮ লঞ্চের সুপারভাইজার মেজবাহ উদ্দিন জানান, শুক্রবার দিবাগত রাতে ঢাকা সদর ঘাটে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দেয়া এক নারী ও পুরুষ ৬শ টাকা ভাড়ায় লঞ্চের নিচ তলার পেছনে মাস্টার (স্টাফ) কেবিনে ওঠে।

শনিবার সকালে লঞ্চ বরিশালে পৌঁছালে সকাল ৮টার দিকে কেবিন চেক করতে গিয়ে বাইরে থেকে সিটকিনি দিয়ে দরজা আটকানো দেখতে পান। পরে দরজা খুলে ওই নারীকে শোয়া অবস্থা থেকে ডাকাডাকি করে। এতে কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে ওই নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করে।

নিহতের বাবা বজলু বেপারি বলেন, আমার মেয়ে ঢাকায় চাকরি করে। ওর একটি ছোট মেয়েও আছে। ঢাকা থেকে ওর একা আসার কথা ছিল। ওকে লঞ্চে এনে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন তিনি।

বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) নুরুল ইসলাম বলেন, গার্মেন্টস কর্মীর সঙ্গে লঞ্চে ওঠা লোকটি পালিয়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে ওই লোকটিই আখি নামের নারীকে শ্বাসরোধে হত্যা করে পালিয়ে গেছে। হত্যার আলামতও পাওয়া গেছে। লঞ্চের সিসি ক্যামেরা দেখে ওই ব্যক্তিকে শনাক্তকরণের পাশাপাশি গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

কেএসটি