• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ২০, ২০১৯, ০৬:৪৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২০, ২০১৯, ০৬:৪৩ পিএম

নেত্রকোনায় মৎস্য প্রতিমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধু মৎস্যকে রপ্তানি সম্পদে পরিণত করতে চেয়েছিলেন

বঙ্গবন্ধু মৎস্যকে রপ্তানি সম্পদে পরিণত করতে চেয়েছিলেন
মাছের পোনা অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মৎস্য প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু - ছবি : জাগরণ

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু এমপি বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু মৎস্য সম্পদকে দ্বিতীয় প্রধান রপ্তানি সম্পদে পরিণত করার স্বপ্ন দেখেছিলেন। আমরা তাঁর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। বাংলাদেশ এখন মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। একজন মানুষের দৈনিক ৬০ গ্রাম মাছের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু দেশের মানুষ প্রতিদিন গড়ে সাড়ে ৬২ গ্রাম মাছ খেতে পারছে।’

মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে তিনি বেসরকারি পর্যায়ে মাছ চাষ আরও বাড়ানোর আহ্বান জানান। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী শনিবার (২০ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা সদরের মালনী এলাকায় উন্নয়ন সংস্থা স্বাবলম্বী উন্নয়ন সমিতির আদর্শ খামারে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই আহ্বান জানান। জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে জেলা মৎস্য বিভাগের সহযোগিতায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

স্বাবলম্বী উন্নয়ন সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মতীন্দ্র সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তরের ময়মনসিংহ বিভাগের উপপরিচালক তপন কুমার পাল, সদর উপজেলার ইউএনও সুমনা আল মজীদ, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামরুন্নেছা আশরাফ দীনা, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা দিলীপ সাহা প্রমুখ।

কারেন্ট ও মশারি জালের ব্যবহার রোধে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এসব নিষিদ্ধ জাল ব্যবহারের কারণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মাছের অনেক প্রজাতি হারিয়ে গেছে। মাছের রেণু পর্যন্ত ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। কাজেই এসব জালের ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে হবে। কোথাও এসব জাল দেখলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনকে খবর দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।

বিকালে প্রতিমন্ত্রী জেলা শহরের মোক্তারপাড়া মুক্তমঞ্চে তিন দিনব্যাপী মৎস্য মেলার উদ্বোধন করেন। জেলা প্রশাসন, মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউট ও জেলা মৎস্য বিভাগ যৌথভাবে এই মেলার আয়োজন করে।

এনআই

আরও পড়ুন