• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: জুলাই ২০, ২০১৯, ০৭:৩৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২০, ২০১৯, ০৭:৩৩ পিএম

আইসিসি কৌঁসুলি প্রতিনিধিদলের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন

আইসিসি কৌঁসুলি প্রতিনিধিদলের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন
আইসিসি কৌঁসুলি প্রতিনিধিদলের তিন সদস্য  -  ছবি : জাগরণ

আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের (আইসিসি) একটি কৌঁসুলি প্রতিনিধিদল কক্সবাজারের উখিয়ার একাধিক রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছে।

শনিবার (২০ জুলাই) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত আইসিসির কৌঁসুলি দল রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশাপাশি তুমব্রু সীমান্তের জিরো লাইনে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের সাথেও দেখা করে।

তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করলেও রোহিঙ্গাদের সাথে আনুষ্ঠানিক কোনো আলোচনায় অংশ নেয়নি। সফরকালে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা ক্যাম্প-৫-এর ইনচার্জ ও সিনিয়র সহকারী সচিব মো. ওবাইদুল্লার সাথে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী তার অফিসে একান্ত বৈঠক করেন বলে জানা গেছে।

শনিবার সকাল ১০টা থেকে আইসিসির কৌঁসুলি দলের সদস্যরা উখিয়ার কুতুপালং মেগা ক্যাম্পের ওয়েস্ট-১ ক্যাম্প হয়ে ৩, ৪, ৫, ১৭, ১০ ও ১১ নং ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। দুপুর পৌনে ১২টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত তারা বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সীমান্তের তুমব্রু কোনারপাড়া জিরো লাইনে আশ্রিত রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। ক্যাম্পগুলোতে রোহিঙ্গাদের সাথে কোনো আলোচনা করেননি কৌঁসুলি দলের সদস্যরা। তবে সীমান্তের তুমব্রু কোনারপাড়া জিরো লাইনে রোহিঙ্গাদের সাথে কথা বলতে আগ্রহী না হলেও রোহিঙ্গারা তাদের কষ্টের কথা বলেছেন বলে জানান সেখানকার রোহিঙ্গা নেতা দিল মোহাম্মদ।

রোহিঙ্গাদের সঙ্গে মানবতাবিরোধী অপরাধের সম্ভাব্য তদন্ত সামনে রেখে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের (আইসিসি) কৌঁসুলির দপ্তরের এ প্রতিনিধিদলটি বাংলাদেশ সফরের অংশ হিসেবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পও পরিদর্শন করে। জানা গেছে,  রোম সংবিধির আওতায় ‘বাংলাদেশ/ মিয়ানমার পরিস্থিতি’ বিষয়ে আইসিসির কৌঁসুলির দপ্তরের চলমান কাজের অংশ হিসেবে দপ্তরের একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, আইসিসির উপকৌঁসুলি জেমস স্টুয়ার্টের নেতৃত্বে দলটি ঢাকায় পররাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। আইসিসির কৌঁসুলি ফেতু বেনসুদা গত ১২ জুন আইসিসির কাছে রোহিঙ্গা নিপীড়নের আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করার আবেদন করেছেন। মিয়ানমারের সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গাদের ওপর দেশটির সেনাবাহিনী ও উগ্রু বৌদ্ধদের গণহত্যা, ধর্ষণসহ নানা নির্যাতনের বিষয়ে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্টের (আইসিসি) গঠিত এ তদন্ত দল। তবে এ জন্য আইসিসির অনুমতি প্রয়োজন, অনুমতি চাওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা করতে গত ১৬ জুলাই ডেপুটি প্রসিকিউটরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল ঢাকায় আসে এবং আগামী ২২ জুলাই দলটির ফিরে যাওয়ার কথা। যদিও অপরাধের স্থান মিয়ানমার কিন্তু মিয়ানমার আইসিসির সঙ্গে কোনো ধরনের কথা বা আলোচনা করতে রাজি হয়নি, এমনকি মিয়ানমার প্রবেশের ভিসা পর্যন্ত দিচ্ছে না।

আইসিসির প্রেসিডেন্ট এরই মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়ার জন্য বেঞ্চ নির্ধারণ করে দিয়েছেন। নিপীড়নের শিকার হওয়া রোহিঙ্গা ও তাদের প্রতিনিধিদের আগামী ২৮ অক্টোবরের মধ্যে অভিমত জানানোর সুযোগ দেয়া হয়েছে। আইসিসি অনুমতি দিলেই তদন্ত শুরু হবে। তদন্ত শুরু হলে বাংলাদেশ আইসিসির কৌঁসুলির দপ্তরকে কী ধরনের সহযোগিতা দেবে, সে বিষয়েই এই সফরে আলোচনা হতে পারে বলে জানা গেছে।

এনআই

আরও পড়ুন