• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ২২, ২০১৯, ০৩:১৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২২, ২০১৯, ০৩:১৯ পিএম

খোলা আকাশের নিচে রাত্রি যাপন শতাধিক পরিবারের 

খোলা আকাশের নিচে রাত্রি যাপন শতাধিক পরিবারের 

কুড়িগ্রাম-যাত্রাপুর সড়কে বন্যার্ত শতাধিক পরিবারের প্রায় ৫শ মানুষ খোলা আকাশের নিচে রাত্রি যাপন করছে।
সোমবার (২২ জুলাই) রাতে সদর উপজেলার পাঁচগাছি ইউনিয়নের শুলকুর বাজার থেকে জালালের মোড় পর্যন্ত এলাকায় এমন চিত্র দেখা গেছে। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বন্যাতে বাড়ি ঘর তলিয়ে যাওয়া মানুষজন উঁচু সড়কে শতাধিক পরিবার গবাদি পশু গরু-ছাগল ও হাঁস-মুরগি নিয়ে খোলা আকাশের নিচে রাস্তায় রাত্রি যাপন করছে। 

পাঁচগাছি ইউনিয়নের জুম্মার পাড় এলাকার মহির উদ্দীন, নাজির হোসেন, আমিনুল ইসলাম জানান, আমাদের বাড়িতে এখনো বন্যার পানি আছে। পানি কিছুটা কমলেও বন্যার পানি দ্বারা বাড়ির আঙ্গিনা, ঘরের মেঝেসহ অবকাঠামো ভেঙে পড়ায় বাড়ি ঘর বসবাসের উপযোগী হতে আরও ৩ থেকে ৪ দিন সময় লাগবে। কিন্তু মাঝে মধ্যে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি দেখে আমরা শঙ্কিত হচ্ছি। 

তারা আরও জানান, আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে খোলা আকাশের নিচে নিদারুণ কষ্টে রাস্তায় রাত্রি যাপন করছি। আমরা আমাদের স্ত্রী ও কন্যাদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত থাকায় রাত জেগে থেকেই কাটিয়ে দিচ্ছি। 

পাঁচগাছি ইউপি চেয়ারম্যান মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, পানি অনেকটা কমে আসলেও গবাদিপশু রাখার জন্য বাড়িতে শুকনো জায়গা না থাকায় তারা গবাদিপশু নিয়ে রাস্তায় রাত কাটাচ্ছেন। 

স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, ব্রহ্মপুত্রের পানি এখনও চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ২৮ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নুনখাওয়া পয়েন্টে ২০ সেন্টিমিটার ও ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে বিপদসীমার ১১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

কেএসটি

আরও পড়ুন