• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ২২, ২০১৯, ০৩:৩১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২২, ২০১৯, ০৩:৩১ পিএম

অবৈধ সম্পর্কে রাজি না হওয়ায় লঞ্চে গলা টিপে হত্যা

অবৈধ সম্পর্কে রাজি না হওয়ায় লঞ্চে গলা টিপে হত্যা
র‌্যাবের হাতে আটক ঘাতক সুমন-ছবি : জাগরণ

অবৈধভাবে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে রাজি না হওয়ায় সুরভী-৮ লঞ্চের স্টাফ কেবিনে খুন হতে হয়েছে গার্মেন্টস কর্মী আঁখি আক্তার ওরফে শারমিনকে। জোরপূর্বক ধর্ষণ করতে না পেরে পরকীয়া প্রেমিক ঢাকা সদরঘাটের ফল ব্যবসায়ী সুমন (৩২) গলা টিপে হত্যা করে তাকে। ঘাতক সুমনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

সোমবার (২২ জুলাই) দুপুপের বরিশাল নগরীর রূপাতলীতে র‌্যাব-৮ সদর দফতরের মিডিয়া রুমে প্রেস ব্রিফিংএ র‌্যাব-৮ এর উপ-অধিনায়ক মেয়র খান সজিবুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান।

এর আগে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় রোববার (২১ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার নকবুল্লাহ গ্রামের সিপাহীবাড়ী থেকে সুমনকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-৮। সে ওই গ্রামের মানিক সিপাহীর ছেলে।

প্রেস ব্রিফিং-এ র‌্যাব-৮ এর অধিনায়ক মেজর খান সজিবুল ইসলাম বলেন, সুমন ৭-৮ বছর যাবৎ ঢাকা সদরঘাট ১ নম্বর গেটে ফলের ব্যবসা করে আসছে। নারায়ণগঞ্জের গার্মেন্টস কর্মী ও বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার পাদ্রিশিবপুর ইউনিয়নের বড় পুইয়াউটা গ্রামের বজলু বেপারির মেয়ে আঁখি আক্তারের সাথে তার মোবাইল ফোনে পরিচয় হয়।

তারা দু’জনেই নিজেদের বিয়ে এবং সন্তান থাকার কথা গোপন রেখে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। এমনকি আঁখি নিজের প্রকৃত নাম গোপন রেখে শারমিন বলে পরিচয় দেয়।

মেজর খান সজিবুল ইসলাম গ্রেফতারকৃত সুমনের বরাত দিয়ে বলেন, ঘটনার দিন অর্থাৎ গত ১৯ জুলাই (শুক্রবার) সুমন রাজধানীর সদরঘাটে বরিশালগামী এমভি সুরভী-৮ লঞ্চের স্টাফ কেবিন ভাড়া নেয়। এ সময় তার সাথে আঁখিও ছিলো।

রাত ১১টার দিকে সুমন শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দেয় আঁখিকে। কিন্তু বিয়ে না করে শারীরিক সম্পর্ক করার প্রস্তাব প্রত্যাখান করে আঁখি। এ জন্য তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে সুমন। তখন আঁখি ডাক-চিৎকার শুরু করলে সুমন তার গলা টিপে ধরে। টানা দুই মিনিট তার গলা টিপে ধরার এক পর্যায় শ্বাসরোধে মৃত্যু হয় আঁখির।

লঞ্চ বরিশাল নদী বন্দরে পৌঁছার আগ পর্যন্ত আঁখির মরদেহ নিয়ে কেবিনের মধ্যেই অবস্থান করে সুমন। ভোর রাতে লঞ্চঘাটে পৌঁছানো মাত্রই কৌশলে লঞ্চ থেকে নেমে পালিয়ে যায় সে। পরে নিজ বাড়ি ভান্ডারিয়ায় মোবাইল ফোন বন্ধ করে আত্মগোপন করেছিলো সুমন। ঘটনার ৩৮ ঘণ্টার মধ্যেই র‌্যাব-৮ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে সুমনকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারপূর্বক রাতভর জিজ্ঞাসাবাদে সুমন র‌্যাবের কাছে হত্যার দায় স্বীকার করে।

এসএমএম

আরও পড়ুন