• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ২৩, ২০১৯, ০৮:৩৯ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২৩, ২০১৯, ০৮:৩৯ এএম

বগুড়ায় বন্যায় ফসলের ক্ষতি ১২৩ কোটি টাকা

বগুড়ায় বন্যায় ফসলের ক্ষতি ১২৩ কোটি টাকা

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর বৃষ্টিপাতের কারণে বন্যায় এ পর্যন্ত বগুড়ায় তিন উপজেলায় প্রায় ১২ হাজার ২৩০ হেক্টর ফসলি জমি প্লাবিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৬২ হাজার কৃষক, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১২৩ কোটি টাকা। এরমধ্যে রয়েছে পাট, রোপা আউশ, রোপা আমন বীজতলা, মরিচসহ নানা ধরনের সবজি ক্ষেত। 

কৃষি বিভাগ বলছে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। কারণ যমুনার পানি কমছে আর বাঙ্গালী নদীর পানি বাড়ায় আরও ফসলহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়তে পারে। 

কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালের জুলাইয়ে প্রথম দফা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে জেলার সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলায় তিন হাজার ৭০৫ হেক্টর আবাদি জমির ফসল তলিয়ে যায়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ২৪ হাজার কৃষক পরিবার। আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় ৩৫ কোটি ১১ লাখ ৬৬ হাজার ৪০০ টাকা। একই বছরে দ্বিতীয় দফা বন্যায় জেলার ১২টি উপজেলার ২২ হাজার ৩৯০ হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে যায়। যার আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় ২৭৭ কোটি টাকা।   

ধুনট এলাকার কৃষক আজমল হোসেন জানান, এবছর তিনি দুই বিঘা জমিতে পাটের চাষ করেছিলেন। বেশির ভাগ পাঠ ভেসে গেছে।  জমিতে লাগানো আউশ পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে।

বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, সোমবার (২২ জুলাই) যমুনা পয়েন্টে পানি কমে বিপদসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বাঙালি নদীর পানি ২৩ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ৮০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নতুন করে আতঙ্কে রয়েছেন ২০ গ্রামের মানুষ।

বগুড়ায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নিখিল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, আমরা রোববার পর্যন্ত মন্ত্রণালয়ে যে প্রতিবেদন জমা দিয়েছি, তাতে টাকার অঙ্কে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১২৩ কোটি টাকা। তবে আরও বাড়তে পারে। কারণ বাঙালি নদীর পানি ক্রমেই বাড়ছে। এই পানি প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ফসলি জমিতে ঢুকছে। এতে নিত্য নতুন ফসলি জমি পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়ছে। চূড়ান্ত ক্ষতির হিসাব জানতে বন্যা শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।  

কেএসটি

আরও পড়ুন