• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ২৫, ২০১৯, ০৭:৩৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২৫, ২০১৯, ০৭:৩৮ পিএম

রামপুরায় শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষ, আহত ২০

রামপুরায় শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষ, আহত ২০

গার্মেন্টকর্মী হত্যার প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধের সময় পুলিশের সঙ্গে শ্রমিক সংঘর্ষে ২ পুলিশ কর্মকর্তাসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। শ্রমিকদের নাশকতা ও গাড়ি ভাঙচর ঠেকাতে পুলিশ শ্রমিকদের ওপর সর্টগানের গুলি বর্ষণ ও বেধড়ক লাঠি-পেটা করে সরিয়ে দেয়। 

ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর রামপুরা এলাকায়। গ্রেফতার এড়াতে আহতরা স্থানীয় হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন।

রাজধানীর হাতিরঝিল থানার ওসি আবদুর রশিদ জানান, রামপুরায় এক শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় সড়ক অবরোধ চলাকালে শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া হয়। এ সময় শ্রমিকদের ভাঙচুর ঠেকাতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। পাশাপাশি গুলিও ছোড়া হয়। অবরোধে শ্রমিকরা একটি গার্মেন্টসে হানা দিয়ে ভাঙচুরের চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এ সময় শ্রমিকদের ছোড়া ইটের আঘাতে হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রশিদ ও তেজগাঁও বিভাগের এক সহকারী কমিশনার (এসি) আহত হন।

তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) আনিসুর রহমান বলেন, সড়ক অবরোধের একপর্যায়ে শ্রমিকরা এক হয়ে ইজি গার্মেন্টে হামলার করার চেষ্টা চালায়। এ সময় পুলিশ অ্যাকশনে গিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ডিসি বলেন, সকালে ইজি গার্মেন্টে দেলোয়ার নামে কাটিং বিভাগের এক শ্রমিককে চোর সন্দেহে মারধর করে ওই গার্মেন্টের কয়েকজন কর্মী। গার্মেন্টের লোকজন জানান, দেলোয়ার নাকি ওই গার্মেন্টের জানালা দিয়ে কাপড় নিচে ফেলছিলেন। এরপর তারা তাকে মারধর করে হত্যা করে। আহত ইজি গার্মেন্ট শ্রমিক দেলোয়ারকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে তার মৃত্যু ঘটে। এ ঘটনায় আরেকজন আহত হন। তিনি রামপুরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

তিনি জানান, আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ায় ইজি গার্মেন্টের তিনজনকে আটক ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।

শ্রমিক দেলোয়ার মারা যাওয়ার বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ার পর পোশাক শ্রমিকরা রামপুরা রাস্তায় নেমে আসে। শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে। পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ ঘটনায় দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বন্ধ থাকার পর রামপুরা সড়কটি বিকেল পৌনে ৫টায় খুলে দেয়া হয়।

এইচএম/এসএমএম

আরও পড়ুন