• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ২৭, ২০১৯, ০৮:২৫ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২৭, ২০১৯, ০৮:২৫ এএম

৯ দিন পর শেরপুর-জামালপুর সড়কে যোগাযোগ শুরু

৯ দিন পর শেরপুর-জামালপুর সড়কে যোগাযোগ শুরু

পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের পানি কমতে শুরু করায় শেরপুরের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। ফলে ৯ দিন ধরে বন্ধ থাকার পর শেরপুর থেকে জামালপুরসহ উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ শুরু হয়েছে। তবে পানির স্রোত থাকায় ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে যানবাহন। শুক্রবার (২৬ জুলাই) সন্ধ্যা থেকে এ সড়কে যোগাযোগ শুরু হয়।

কজওয়েতে গিয়ে দেখা যায়, ট্রাক, মোটরসাইকেল ও ছোট ছোট যানবাহন কজওয়ের ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে। আবার রাস্তার মধ্যে পানির স্রোত থাকায় অনেকে সিপ জাল (ধর্ম জাল) দিয়ে মাছ ধরছে। কেউ কেউ আবার পানিতে নেমে কজওয়ে পারাপার হচ্ছে। অনেকে আবার রাতে কজওয়ের পানি দেখতে এসেছে। কেউ তুলছেন সেলফি।

নন্দীর বাজার এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মমিন বলেন, ‘ভাইরে ৯ দিন ধরে কি যে কষ্টে আছি, নৌকা করে এইটুকু (কজওয়ে) পারাপার হয়েছি। এতে আমাদের খুব ভোগান্তি হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে পানি একটু কমে যাওয়ায় গাড়ি চলাচল করছে।’

শেরপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী সাবিনা আক্তার বান্ধবীদের সাথে নিয়ে কজওয়েতে ঘুরতে আসেন। এসময় কথা হয় তাদের সাথে। তারা জানান, ‘প্রায় প্রতি বছরই বন্যার হলেই কজওয়ে ডুবে যায়; এতে দুর্ভোগে পড়ে দু’পাড়ের বাসিন্দা ও এ সড়কে চলাচলকারীরা। এর একটা স্থায়ী সমাধান দরকার।’ পাশেই সাবিনার বান্ধবী রুমা বলেন, ‘এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণ হলে দুর্ভোগ কমে আসবে স্থানীয়দের।’

ট্রাক চালক শামীম মিয়া বলেন, ‘ভাই কি কমু কয়টা দিন ধরে কি যে কষ্টের মধ্যে আছিলাম; তাই একটু পানি কমার সাথে সাথে আমরা ঝুঁকি নিয়ে ট্রাক চলাচল করছি।’

এর আগে গত ১৮ জুলাই বৃহস্পতিবার রাত থেকে শেরপুর-জামালপুর মহাসড়কের পোড়ার দোকান এলাকায় কজওয়ের ওপর দিয়ে প্রবলবেগে বন্যার পানি প্রবাহিত হয়। এতে ওই সড়কে শেরপুর থেকে জামালপুরসহ উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।


কেএসটি

আরও পড়ুন