যশোরে ‘বন্দুকযুদ্ধে' সুজন (৩২) নামে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। শনিবার (২৭ জুলাই) ভোরে শার্শা উপজেলার অগ্রভূলোট সীমান্তে বিজিবির সঙ্গে এই ‘বন্দুকযুদ্ধের' ঘটনা ঘটে। এ সময় বিজিবি‘র এক সদস্য আহত হয়েছে।

বিজিবির পক্ষ থেকে দাবি করা হয় নিহত ব্যক্তি মাদক চোরাকারবারি। ঘটনাস্থল থেকে তিনশ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত সুজন বেনাপোল পোর্ট থানার কাগজপুকুর গ্রামের মোস্তফা কামালের ছেলে।

খুলনা ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল ইমরান উল্লাহ সরকার বলেন, বিজিবির একটি টহলদল প্রতিদিনের মতো অগ্রভূলোট সীমান্ত এলাকায় টহল দিচ্ছিলেন। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ৫/৬ জন মাদক গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানা যায়, ১০/১২ জনের একটি মাদক ব্যবসায়ীর দল ফেন্সিডিল নিয়ে ভারত সীমান্ত পার হয়ে অগ্রভূলোট সীমান্তে প্রবেশ করেছে। এ ধরনের সংবাদ পেয়ে বিজিবি সদস্যরা সেখানে অভিযান চালিয়ে দুই জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে। কিছু সময় পর মাদক ব্যবসায়ীরা সংঘবদ্ধ হয়ে বিজিবি সদস্যদের লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালায়। এতে বিজিবির হাবিলদার আকমল হোসেন গুরুতর আহত হন। বোমা হামলাকারীদের ধরতে আটক ওই দুই মাদক পাচরকারীকে নিয়ে ভোর ৪টার দিকে অগ্রভূলোট এলাকায় আজিজের আমবাগানে অভিযান চালানো হয়। আমবাগানে পৌঁছানোর সাথে সাথে মাদক ব্যবসায়ীদের সহযোগীরা বিজিবি সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এসময় বিজিবি সদস্যরাও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়েন। দুই পক্ষের গোলাগুলির এক পর্যায়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। 
পরে বিজিবি সদস্যরা আমবাগানের ভিতর থেকে সুজন নামে এক মাদক ব্যবসায়ীর লাশ, তিনটি হাতবোমা ও তিনশ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে। 

এদিকে, আহত বিজিবির হাবিলদার আকমলকে প্রথমে যশোর সিএইচএমে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারে করে তাকে ঢাকায় নেয়া হয়েছে। 

শার্শার উপজেলার বাগআচঁড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই আব্দুর রহিম হাওলাদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, খবর পেয়ে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এঘটনায় শার্শা থানায় একটি অপমৃত্যুর রেকর্ড করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

কেএসটি