• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ৩১, ২০১৯, ০৫:১১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ৩১, ২০১৯, ০৫:১১ পিএম

অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে হত্যা, শাশুড়ি গ্রেফতার

অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে হত্যা, শাশুড়ি গ্রেফতার

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগে শাশুড়িকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। সেই সাথে মৃতার ফরেনসিক টেস্টের জন্য লাশ দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নিহত গৃহবধূ রুনা আক্তার (২৫) উপজেলার ধনতলা গ্রামের হুসেন আলীর মেয়ে।

পুলিশ জানায়, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধনতলা গ্রামের হোসেন আলীর কন্যা রুনা আকতারকে (২৫) ছয় বছর আগে পাড়িয়া ইউনিয়নের মেছনী পিঁয়াজুপাড়া গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে মোশাররফ বিয়ে করেন।
বিয়ের কিছুদিন পর থেকে ২ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে রুনা আক্তারের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করেন মোশাররফ। এ নিয়ে পারিবারিকভাবে ও স্থানীয়ভাবে একাধিকবার বিচার-সালিস করা হলেও মোশাররফ খুশি হননি। এরই মধ্যে রুনা আক্তার অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। তার পরও যৌতুকের দাবিতে তাকে মারধর করা হতো।

এদিকে সোমবার (২৯ জুলাই) দিবাগত রাতে দেড় লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা রুনা আক্তারকে স্বামী ও পরিবারের লোকজন মারধর করলে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। প্রতিবেশী জেসমিন আক্তারসহ অন্যরা গভীর রাতে অজ্ঞান অবস্থায় তাকে উদ্ধার করেন। ওই সময় তার মুখ থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। হাসপাতালে নেয়ার পথে রুনা মারা গেলে তার লাশ বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়।

ঘটনার পর বাড়ির লোকজন দরজায় তালা দিয়ে উধাও হয়ে যায়। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দুপুরে পুলিশ স্বামীর বাড়ি থেকে রুনা লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় গৃহবধূর বাবা হোসেন আলী বাদী হয়ে বালিয়াডাঙ্গী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

বুধবার (৩১ জুলাই) সকালে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু হাসপাতালে ফরেনসিক বিভাগ না থাকায় লাশ দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি ওসি মোসাব্বেরুল হক জানান, মৃতা ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। গর্ভের সন্তানসহ মেয়েটি মারা যায়। মামলা হয়েছে। মেয়ের শাশুড়ি হাসিনা খাতুনকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

এনআই

আরও পড়ুন