• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ৭, ২০১৯, ০৬:৫৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ৭, ২০১৯, ০৭:২১ পিএম

প্রধানমন্ত্রীর কথা সত্যের অপলাপ : মির্জা ফখরুল

প্রধানমন্ত্রীর কথা সত্যের অপলাপ : মির্জা ফখরুল
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর - ফাইল ছবি

বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে মৃত্যু, নির্যাতন বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথা সত্যের অপলাপ ছাড়া আর কিছুই না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বুধবার (৭ আগস্ট) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে অনির্ধারিত এক আলাপচারিতায় তিনি এ  প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন ।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এটা তো আমার কাছে পরিষ্কার যে, এখানে প্রধানমন্ত্রী সত্য কথা বলেননি। আমাদের পত্র-পত্রিকাগুলোয় যে রিপোর্ট আমরা পেয়েছি, এমনকী অ্যামিনেস্টি ইন্টান্যাশনাল, হিউম্যান রাইট ওয়াচের  রিপোর্টে আমরা দেখেছি- প্রতিবছরে এখানে জুডিশিয়াল কাস্টডিতে মৃত্যু হয়েছে ৪শ থেকে ৭শ। গতবছর বিশেষ করে ৪শ উপরে তথাকথিত বন্দুকযুদ্ধের নামে জুডিশিয়াল কাস্টডিতে হত্যা হয়েছে …।

তিনি বলেন, হেফাজতে যে টর্চার-এটা তো সাধারণ ব্যাপার। পত্র-পত্রিকায় ছবিতে এসেছে- ফ্যান ও সিলিংয়ের সাথে ঝুলিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের অনেক নেতাকর্মী আছেন যাদের পায়ে বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি করা হয়েছে। সুতরাং উনি (প্রধানমন্ত্রী) অবলীলায় অস্বীকার করলেন- এটা হয় না। আমার মনে হয়, এটা সঠিক তো নয় বটেই, এটা সত্যের অপলাপ ছাড়া আর কিছুই না।

মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের প্রকৃত যে চিত্র নির্যাতন বাংলাদেশে নির্যাতন সরকারিভাবেই চলছে এবং সরকার বিরুদ্ধ মত ও যারা ভিন্নমত পোষন করে তাদের উপরে অত্যাচার-নির্যাতন আরো বেশি করে চালিয়েছে।

তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন যে, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আলোকচিত্রী শিল্পী শহিদুল আলমকে গ্রেপ্তার করে অত্যাচার করা হয়েছে এবং কাস্টডিতে নেয়ার পরে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনকভাবে তার সঙ্গে নির্মম আচরণ করা হয়েছে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে অনির্ধারিত এক আলাপচারিতায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর  - ছবি : জাগরণ

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে নতুন নয়। ইতিপূর্বেও প্রধানমন্ত্রী ও তার মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা সত্যকে অস্বীকার করেছেন। আজকে ডেঙ্গুকে সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা, তাদের মেয়ররা প্রথম দিকে তো কোনো গুরুত্বই দেয়নি এবং গুজব বলে নাকচ করে দিয়েছে। এখন দেখা যাচ্ছে যে, এটা এত বেশি সর্বগ্রাসী রূপ নিয়েছে- এটা শুধু ঢাকায় নয়, সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। কোনো জেলা বাদ নেই। এটা (ডেঙ্গু) মহামারী আকারেই ছড়িয়ে পড়েছে।

ফখরুল বলেন, যতগুলো জাতীয় সমস্যা এসেছে, কোনো সমস্যায় আওয়ামী লীগ অন্যান্য দলকে সম্পৃক্ত করেনি এবং তারা বিশ্বাসই করে না। তারা একলা চলো নীতিতে বিশ্বাস করে। এ কারণে তাদের বড় ধরনের ভুল হতে থাকে।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মিডিয়ার কারণে ডেঙ্গু সমস্যা নিয়ে জনগণের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হচ্ছে- এই বিষয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা সবসময়ই জিনিসগুলোকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। বাস্তব সত্য যেটা, সেটাকে স্বীকার করতে সাহস পান না। এখানে মিডিয়া ছিল বলে তো ডেঙ্গুটা সামনে এসেছে। নাহলে ডেঙ্গুটা চেপে যেত সবাই। বুঝতে পারত না কীভাবে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে ডেঙ্গু? ব্যক্তিগতভাবে দুদিন ধরে আমার শরীরে ব্যথা ছিল, আমি দুই বার টেস্ট করিয়েছি। এই বয়সে যদি ডেঙ্গু হয় তাহলে ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।

আওয়ামী লীগের এ বি সিদ্দিকী নামে এক কর্মীর দায়েরকৃত মামলা প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এটাতে আমরা বিস্মিত হয়েছি- ইটস বোল্ড ফরম ব্লু। আসলে এই ধরনের ঘটনায় মামলা একটা আসবে আমরা চিন্তাই করতে পারিনি। মামলাটি সম্পূর্ণভাবে মিথ্যা-বানোয়াট। আমার কাছে মামলার কপি আছে। এখানে সাম এ বি সিদ্দিকী, তাকে আমি কোনোদিন দেখিওনি। যদিও তিনি ইতিপূর্বে ৩/৪টা মামলা করেছেন। বেগম খালেদা জিয়া জিয়ার বিরুদ্ধেও ৫টি মামলা করেছে। এই প্রথম দেখলাম যে, মামলা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওয়ারেন্ট ইস্যু হয়ে গেল।

টিএস/ এফসি

আরও পড়ুন